কলকাতা: ফের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে আচমকা এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ। রাস্তায় শুয়ে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। ৩০ জন বিক্ষোভকারী আটক। ভোটের চার দিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অদূরে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
এক মাসের মধ্যে এই নিয়ে দুবার। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পাশে হরিশ চ্য়াটার্জি স্ট্রিটের রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। এর আগে মার্চ মাসের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা। আজ, বিক্ষোভ চলাকালীন চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, দুবছর আগে প্রেস ক্লাবে অনশন চালাকালীন যে প্রতিশ্রুতি মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছিলেন তা মেটাতে হবে। বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে ৩০ জনকে আটক করে পুলিশ।
প্ল্যাকার্ডে লেখা, আমরা পুনরায় মুখ্যমন্ত্রীর দুয়ারে। চাকরিপ্রার্থীদের রাস্তায় বসে থাকা, শুয়ে থাকার ছবি উস্কে দেয় বছর দুয়েক আগে প্রেস ক্লাবের সামনের ছবি। ঠিক ঘটেছিল দুবছর আগে প্রেস ক্লাবে? কী দাবি ছিল চাকরিপ্রার্থীদের?
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। অনশনে বসেন এসএসসি-র প্য়ানেলভুক্ত থাকা চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, প্যানেলে নাম থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ হচ্ছে না। নিয়োগের দাবিতে প্রায় একমাস ধরে অনশন করেন তাঁরা। সেই অনশন চলাকালীন তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। চাকরিপ্রার্থী এবং সরকারের ৫ সদস্যের কমিটি বৈঠকেও বসে। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন সামনে লোকসভা নির্বাচন। তাই জুন মাস পর্যন্ত সময় চান তিনি। শুধু তাই নয়, ওই অনশন প্রত্যাহারের সময় চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, এটা অনশনের শেষ নয়, সাময়িক বিরতি। আমাদের দাবি না মিটলে ফের আন্দোলনে নামব।
এদিন চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, আমাদের দাবি মানা হয়নি। প্রেস ক্লাবে অনশন চলাকালীন অনেক প্রতিশ্রুতির কথা শোনানো হয়। কিন্তু তাঁর কোনওটাই কার্যকর হয়নি বলে অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন বলে দাবি চাকরিপ্রার্থীদের। তবে এই প্রথম নয়। এর আগে শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনেও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন এসএসসি-র মেধাতালিকায় নাম থাকা চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। তারপর, সরস্বতী পুজোর দিন নিয়োগের দাবিতে শিক্ষামিত্র ও অনুমোদনহীন মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষক আদিগঙ্গায় নেমে বিক্ষোভ দেখান। যা নজিরবিহীন বলে অনেকেই উল্লেখ করেছেন।