কলকাতা : এসএসসি-র চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের জের। আবেদনের ভিত্তিতে নিয়ম মেনে নিয়োগ করা হবে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠকের পর একথা জানালেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান। মেধা তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও তাঁদের নিয়োগ করা হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের জন্য আবেদনকারীদের একাংশ।
সল্টলেকে সেন্ট্রাল পার্কের কাছে ১৮৭ দিন ধরে অনশন চলেছে মাধ্য়মিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের চাকরিপ্রার্থীদের। গতকালও তাঁরা আন্দোলনের জন্য বসতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, পুলিশ তাঁদের বসতে দেয়নি। তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। পরে অবশ্য ছেড়ে দেওয়া হয়। দীর্ঘ আন্দোলনের পর অবশেষে আজ স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে ডেকে পাঠানো হয় সরকারের তরফে।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনের সচিব সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ছিলেন রাজ্যে স্কুলশিক্ষা ও উচ্চশিক্ষা দফতরে প্রধান সচিবও । বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন, অর্থাৎ যাঁরা অভিযোগ করছেন যে, মেধাতালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও তাঁদের নিয়োগ করা হয়নি বা প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন দমিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন-তাঁদের বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হবে। তাঁদের অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা হবে বলে বৈঠক শেষে জানান স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান শুভশঙ্কর সরকার।
তিনি বলেন, তাঁদের অভিযোগগুলি কী রকম তার একটা বিশ্লেষণ করা হবে। তাঁদের মধ্যে যাঁদের সত্যি সত্যিই সমস্যা হয়েছে, তাঁরা অ্যাগ্রিভড- সেটা দেখা হবে। দুই নম্বর হচ্ছে, তাঁদের কীভাবে বা কতজনকে অ্যাকমোডেট করা যায় আইন মেনে, ন্যায্যভাবে সেটা আমাদের বিষয় রয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিয়োগের দাবিতে অবস্থানে বসতে গিয়ে আজই গ্রেফতার হন ৫০ জন চাকরিপ্রার্থী। সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে এসএসসি-র চাকরিপ্রার্থীরা অবস্থানে সামিল হতে যান। তড়িঘড়ি পুলিশ তাঁদের আটক করে প্রথমে থানায় নিয়ে যায়। পরে গ্রেফতার করা হয় ৫০ জনকে। উচ্চমাধ্যমিকের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকরাও বিকাশ ভবনে ঢুকতে গিয়ে বাধা পান। পরে তাঁরা স্মারকলিপি দিয়ে চলে আসেন।