পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া : কয়েক দিন আগেও নিম্নচাপজনিত বৃষ্টির জেরে সেতুটি ছিল জলের তলায়। সমস্যায় পড়েন বাঁকুড়া-২ ব্লকের মানকানালি গ্রাম পঞ্চায়েতের একটা বড় অংশের মানুষ। জল কমতে আরও বড় সমস্যার সম্মুখীন হলেন তাঁরা। ভগ্নপ্রায় অবস্থায় রয়েছে সেতুটি। ফলে, দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের।


বাঁকুড়া শহরের সঙ্গে এই এলাকার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম গন্ধেশ্বরী নদীর উপর মানকানালি সেতু। বর্তমানে এই সেতুই ভগ্নপ্রায় অবস্থায় রয়েছে। সেতুর একটা অংশ জলের তোড়ে ভাসিয়ে নিয়ে চলেছে। রাস্তাঘাটের অবস্থাও তথৈবচ। 


ওই এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, জীবিকা নির্বাহ থেকে কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে হাসপাতালে পৌঁছাতে এই একটি রাস্তাই ভরসা। আর সেই রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে থাকলে সমস্যা বাড়ে বই কমে না। ফলে যে কোনও সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন ওই এলাকার মানুষ।


স্থানীয় বিজেপি নেতা অর্ধেন্দু মুখোপাধ্য়ায় বলেন, '৭২ সালে এই সেতুটি তৈরি করা হয়েছিল। তার পর আর এই সেতু নিয়ে কেউ কখনো ভাবেনি। অসংখ্য ফাটল দেখা দিয়েছে। এই সেতু পুনরায় নির্মাণে জেলা পরিষদ উদাসীন বলে তিনি অভিযোগ করেন।


যদিও বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু বলেন, ওই সেতু সেচ দফতর দেখাশোনা করে। এবার ভারী বৃষ্টিতে সেতুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। মানুষের সমস্যা যাতে না হয় তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করা হবে।  


প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগে নিম্নচাপের জেরে বাঁকুড়া জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। টানা বৃষ্টিতে মানাকানালি সেতু চলে গিয়েছিল জলের তলায়। টানা সাত দিন ওই সেতুর উপর দিয়ে জল বয়ে যাওয়ায় যাতায়াত বন্ধ ছিল। নিম্নচাপ কেটে যেতেই ওই জল নেমে যাওয়ায় ফের সেতু দিয়ে শুরু হয়েছিল যাতায়াত। কিন্তু সাময়িক বিরতির পর বাঁকুড়ায় ফের বৃষ্টি শুরু হয়। আর এর জেরে ফের জলের তলায় চলে যায় মানকানালির ওই সেতু।


এলাকার মানুষের দাবি, এই সেতু একটু উঁচু করে তৈরি করলেই এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়ে যাবে।