তমলুক : ভোটের মধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি ( recruitment scam ) মামলায় বড় ধাক্কা খেল রাজ্য। ২০১৬-র প্যানেল ও নিয়োগ অবৈধ। প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করল হাইকোর্ট ( Calcutta High Court )। ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত, প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া দেওয়া নির্দেশগুলিই বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। এই মামলার রায় বেরনোর পর তিনি বলেন, তিনি যতটা কঠিন রায় দিতে পারেননি, তার থেকেও কাঠিন্য বজায় রেখে রায় দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। 


তিনি আরও বলেন, 'এই জোচ্চোর মিথ্যাচারী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের পদত্য়াগ দাবি করছি। তিনি যেভাবে শিক্ষিত এবং যোগ্য় চাকরী প্রার্থীদের জীবন নষ্ট করেছেন এতদিন ধরে। একের পর এক মামনা সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে গেছেন। তারপর সুপ্রিম কোর্ট ১৯ টি মামলা, তারপরে তার সঙ্গে আরও অনেক মামলা যুক্ত হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। তারপর বিচারপতি দেবাংশু বসাক, এবং বিচারপতি সব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চে দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের সব কোট আনকোট বিখ্য়াত বিখ্য়াত উকিলরা সেই মামলা লড়েছিলেন। আজকে হাইকোর্ট তাঁর উপযুক্ত, হাইকোর্টের উপযুক্ত একটা রায় দিয়েছে '


অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতে, এতে আনন্দে আত্মহারা হওয়ার দিন নয়। বরং, এখনও এমন 'জোচ্চোর' সরকারের আওতায় রয়েছে আমাদের রাজ্য। অভিজিতের প্রতিক্রিয়া, মিথ্যাচারী মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। তিনি হিন্দু ও মুসলমান উভয়কেই ঠকিয়েছেন। অবৈধ চাকরিপ্রাপকদের উদ্দেশে  তাঁর নিশানা, 'জোচ্চর তোমাদের ফাঁসিতে চড়া উচিত।'


প্রাক্তন বিচারপতি আরও বলেন, 'বিচারব্য়বস্থা এতই পবিত্র এবং এই বিচারব্য়বস্থা ভারতবর্ষের নাগরিকদের স্বার্থে কাজ করে এবং আমি অত্য়ন্ত গর্বিত এবং আমি নিজেকে অত্য়ন্ত ভাগ্য়বান বলে মনে করি। যে আমি বেশ কিছুদিন এই বিচারব্য়বস্থার অঙ্গ হিসেবে কাজ করেছিলাম। বিচারপতি হিসেবে।' 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন :                          
কোন কোন উপসর্গ দেখলে বুঝবেন হিটস্ট্রোক ? ব্রেন স্ট্রোকের সঙ্গে এর ফারাক কোথায় ?