নয়াদিল্লি: ধর্ষণ মামলা নিয়ে কড়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। চার্জশিট বা চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা না পড়া পর্যন্ত নির্যাতিতার বয়ান প্রকাশ করা যাবে না বসে জানিয়ে  দিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। আদালত জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৬ ধারায় (CRPC)  নির্যাতিতার বয়ান কারও কাছে, এমনকি অভিযুক্তের কাছেও প্রকাশ করা চলবে না।


ধর্ষিতার বয়ান প্রকাশ করা যাবে না চার্জশিট জমা না পড়া পর্যন্ত


বাবার হাতে সম্প্রতি যৌন নির্যাতনের শিকার হন দুই মেয়ে। সেই মামলায় আদালতে বয়ান গোপন রাখার আর্জি জানিয়েছিলেন তাদের মা। তার শুনানিতেই এমন নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর জিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে নিয়মের পরিবর্তন করতে হবে দেশের হাইকোর্টগুলিকে।


আরও পড়ুন: EPFO News: EPFO অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা পাবেন না সুদের টাকা ! যদি না করেন এই কাজ, এই সহজ ধাপে হবে সমাধান


এই মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি মেয়েদের বয়ানের লিখিত কপি চেয়েছিলেন এবং তা হাতেও পেয়ে গিয়েছিলেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় মেয়ে দু’টি বয়ান রেকর্ড করে। তা নিয়েই আদালতে আবমাননার আবেদন জমা দেন নির্যাতিতা দুই মেয়ের মা।


ধর্ষিতার বয়ান প্রকাশ করা যাবে না অভিযুক্তর কাছেও, নির্দেশ কোর্টের


তার শুনানিতে আদালত জানায়, অবমাননা আবেদনে যে উদ্বেগ প্রকাশ কার হয়েছে, তা একেবারেই যুক্তিপূর্ণ।  আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও বয়ানের কপি অভিযুক্তকে সরবরাহ করা হয়। অপরাধ আইেনর ১৬৪ ধারার অধীনে বয়ানটি লিপিবদ্ধ করা হয়। আদালতের সওয়াল-জবাব চালাকালীন তা তুলেও ধরা হয়। দুর্ভাগ্যের বিষয় যে, সংশ্লিষ্ট আদালতও আদালতের নজরেও নির্দেশের লঙ্ঘন চোখে পড়েনি।


এ নিয়ে কড়া পদক্ষেপ যদিও কড়া হয়নি। তবে আবেদনকারীর আইনজীবী জানান, দেশের সমস্ত উচ্চ আদালতে অপরাধ মামলার ক্ষেত্রে বয়ান নিয়ে সুনির্দিষ্ট বিধি-নিয়ম লিপিবদ্ধ নেই। তাঁর সেই দাবি মেনে নিয়েই শীর্ষ আদালত নিয়ম-কানুনে বদল এবং সংশোধন ঘটানোর নির্দেশ দেয়।


আদালত জানিয়েছে, ধর্ষণ মামলায় তদন্তকারী অফিসার সত্বর নির্যাতিতাকে মেট্রোপলিটন অথবা জুডিয়াশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দাঁড় করাবেন। অপরাধ আইনের ১৬৪ ধারায় বয়ান রেকর্ড করাবেন নির্যাতিতাকে। তার একটি অনুলিপি তদন্তকারী অফিসারের কাছে থাকবে। চার্জশিট সমা না পড়া পর্যন্ত তা কারও কাছে প্রকাশ করা যাবে না।