কলকাতা: একুশের নির্বাচনী ইস্তেহারে মহিলাদের জন্য একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইস্তেহারে বাংলার মেয়েদের মাসিক টাকা দেওয়ার যেই প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছিল এবার সেই প্রকল্পই চালু হচ্ছে। বৃহস্পতিবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে তা চালু হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প।
নবান্ন থেকে বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, '১ সেপ্টেম্বর থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে সুবিধা পেতে শুরু করবেন মহিলারা। তার জন্য দরখাস্ত দিতে হবে। দুয়ারে সরকার শুরু হচ্ছে ১৬ অগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর। সেখানে মা–বোনেরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করবেন। তফসিলি জাতি–উপজাতির মহিলারা পাবেন মাসে ১০০০ টাকা। আর সাধারণ পরিবারের মহিলারা মাসিক ৫০০ টাকা পাবেন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখালেই হবে আবেদন করা যাবে।' তাও দরখাস্ত পত্র নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, দুয়ারে সরকার প্রকল্পে, ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, স্বাস্থ্য সাথী, খাদ্য সাথী, কৃষক বন্ধু, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকার জন্য আবেদন করা যাবে। এদিন এমনটাই জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিন মমতা জানিয়েছেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পেতে ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলারা আবেদন করতে পারবেন। দুয়ারে সরকার প্রকল্পেও এজন্য আবেদন করা যাবে।
রাজ্য সরকারের নতুন এই প্রকল্পে জেনারেল ক্যাটিগরির পরিবারের কর্ত্রীকে মাসিক ৫০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতি পরিবারের কর্ত্রীকে প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে অর্থাৎ, যোগ্য জেনারেল কাস্ট পরিবার বছরে ৬ হাজার টাকা ও SC, ST এবং OBC পরিবার বছরে ১২ হাজার টাকা করে পাবে। এর ফলে উপকৃত হবেন ১ কোটি ৬০ লক্ষ মহিলা। সরকারের বাড়তি খরচ হবে বছরে ১২ হাজার কোটি টাকা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, যাঁরা সরকারি চাকরি করেন এবং যাঁরা স্থায়ী চাকরি করেন তাঁরা এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন না, সরকারি পেনশনভোগীরা এটি পাবেন না, তবে ক্যাজুয়াল কর্মীরা পাবেন।
উল্লেখ্য, বাংলার প্রতিটি পরিবারের ন্যূনতম মাসিক আয় সুনিশ্চিত করতে, গত ১৭ মার্চ নির্বাচনী ইস্তেহারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের উল্লেখ করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, ক্ষমতায় ফিরলে নতুন প্রকল্প শুরু করা হবে। আর বিপুল ভোটে রাজ্যে টানা তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার ২ মাস পর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।