জলপাইগুড়ি: রাতে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। জলঢাকা ব্রিজের কাছে পাথর বোঝাই ডাম্পারে চাপা পড়ে ৩ শিশু-সহ ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে। ট্যুইটারে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও।


আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরও ৯ জন জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয় সূত্রে খবর, নিহত ও আহতরা ময়নাগুড়ির রানিরহাটের বাসিন্দা। ৩টি গাড়িতে করে তাঁরা ধূপগুড়িতে বিয়েবাড়িতে যাচ্ছিলেন।


পুলিশ সূত্রে খবর, উল্টোদিকের লেন ধরে যাচ্ছিল ৩টি গাড়ি। সঠিক লেন ধরে আসা ডাম্পারের সঙ্গে সংঘর্ষ হওয়ায়, সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ২টি গাড়ির উপর উল্টে পড়ে। চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়।


পরে পুলিশ ও দমকল এসে বাকিদের উদ্ধার করে। ট্রাক চালকের খোঁজ চলছে। ধূপগুড়ি পুরসভার উপ পুরপ্রধান রাজেশ সিং জানিয়েছেন, রাতে ফোন করে খোঁজ নেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্রাকটি ওভারলোডেড হওয়ার কারণেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান।


জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে ৭ জন রানিরহাটের একই এলাকার বাসিন্দা। এদের মধ্যে রয়েছে ২টি শিশু ও এক মহিলা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন বাবা ও দুই ছেলে-সহ একই পরিবারের ৩ জন।


এই ঘটনায় বিয়ের আসরে বিষাদের ছায়া। গতকাল বৌভাতের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা ঘটে। ঘণ্টাদুয়েক পাথরের স্তূপে চাপা পড়ে থাকার, পর জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় একটি গাড়ির চালককে।


জলপাইগুড়িতে দুর্ঘটনায় ১৪ জনের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে। ট্যুইটে বলা হয়েছে, জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে সড়ক দুর্ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। এই দুঃখের সময়, শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলির জন্য প্রার্থনা করছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের পরিবারপিছু ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।









অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ট্যুইট, ধূপগুড়িতে দুর্ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। মৃত ব্যক্তিদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।





এর আগে, সোমবার গভীর রাতে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় গুজরাতের সুরাতে পিপলোদ গ্রামের রাস্তায় শুয়ে থাকা ২১ জন শ্রমিককে পিষে দিয়ে চলে যায় বেপরোয়া ট্রাক। দুর্ঘটনায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আরও ৬ জন।


মৃতরা সকলেই রাজস্থান থেকে আসা শ্রমিক। ওভারটেক করতে গিয়ে দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। মৃতদের জন্য ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা দানের ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রীর দফতর।