সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিত্‍সককে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল ২ জনকে। আজ হাসপাতালে গিয়ে তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এ নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে চাপানউতোর।


চিকিত্‍সককে বেধড়ক মার। ছিঁড়ে দেওয়া হয় জামা। গত সোমবার এই ঘটনা ঘটে হুগলির পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে। চিকিত্‍সার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগে চিকিত্‍সক শিবশঙ্কর রায়কে মারধর করেন রোগীর আত্মীয়রা।  


এই ঘটনায় অভিযুক্ত ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। বৃহস্পতিবার হাসপাতালে গিয়ে বিভোভের মুখে পড়েন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। 


সোমবারের চিকিত্সককে মারধরের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়। ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার কর্মবিরতিতে সামিল হন হাসপাতালের চিকিত্‍সক,নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।  ওই ঘটনাতেই ২ জনকে গ্রেফতার করল পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ। বুধবার রাতে তাঁদের কোটাল পুকুরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।  ধৃতদের নাম শেখ আলি মহম্মদ ও শেখ ইরশাদ। 


এদিন ঘটনা সম্পর্কে খোঁজ নিতে যান হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু হাসপাতালের বাইরে দলীয় পতাকা নিয়ে তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকরা। তাঁদের অভিযোগ, এতদিন কেন আসেননি সাংসদ? এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। 


হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, এমপি হিসেবে যাচ্ছিলাম তৃণমূলের বাহিনী গন্ডগোল করে, গাড়ি ভাঙচুর হতে পারত, এসপি কিছু করছিলেন না, উনি অভিষেকের নিরাপত্তা দিচ্ছেন ডাক্তারদের নয়, দরকারে সংসদে হবে। 


পুলিশ সূত্রে খবর, চিকিত্‍সককে মারধর ও হাসপাতালে হামলার ঘটনায় সিসিটিভি ও বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ দেখে ১০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে ২ জনকে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। 


করোনা আবহে যখন একেবারে সামনের সারিতে থেকে লড়ছেন চিকিৎসকরা, সেই সময় এভাবে তাদের ওপর হামলায় নিন্দার ঝড় ওঠে সব মহলে।