মালদা ও কলকাতা: এবার মালদায় জালে দুই জাল চিকিৎসক।
সিআইডি অফিসাররা মনে করছেন, রাজ্য জুড়ে পাঁচশোরও বেশি জাল চিকিৎ‍সক ছড়িয়ে রয়েছেন। এরই মাঝে বৃহস্পতিবার মালদা থেকে জালে আরও দুই জাল চিকিৎসক। ডাক্তারি পাস না করেই চিকিৎ‍সা করানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সিদ্ধার্থ কর্মকার ও আমিনুল হককে। দু’জনেই ইংরেজবাজার থানার তিন নম্বর গভর্নমেন্ট কলোনিতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে চেম্বার খুলে বসেছিলেন।
প্যাডে এমবিবিএস লেখা দেখে কেউই প্রথমে সন্দেহ করেননি। ৩০০ টাকা ভিজিটে দু’জনের পসার ভালই জমে উঠেছিল। তবে সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনায় স্থানীয়দের মনে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে। এরপরই তাঁরা পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃত দু’জনের কেউই শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনও নথি দেখাতে পারেননি। এরপরই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম আসল কি না, তা নিয়েও পুলিশের সন্দেহ রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রোগীদের নিয়ে আসার জন্য এলাকার অটো ও টোটোচালকদেরও মোটা টাকা কমিশন দিতেন এই দুই জাল চিকিৎসক। পুলিশ সূত্রে দাবি, ডি এল চৌধুরী নামে এক ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি এই দুই জাল চিকিৎসকের অ্যাটেন্ড্যান্ট হিসেবে কাজ করতেন। এছাড়া আরও দু’জন পলাতক।
এর আগেও তিন জেলা থেকে গ্রেফতার হয়েছেন তিন জাল চিকিৎসক। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে কাইজার আলম, আলিপুরদুয়ারর বীরপাড়া থেকে খুশিনাথ হালদার এবং পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থেকে তনুময় প্রামাণিক। এবার তালিকায় জুড়ল মালদার নামও।