কলকাতা: এবার ভারতী ঘোষ ঘনিষ্ঠ ২ পুলিশ অফিসারকে গ্রেফতার করল সিআইডি। জালে ঘাটালের তৎকালীন সিআই শুভঙ্কর দে ও ঘাটাল থানার প্রাক্তন ওসি চিত্ত পাল। সিআইডি সূত্রে দাবি, শুভঙ্করের বাড়ি থেকে ৪০ লক্ষ টাকা ও চিত্তর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৬ লক্ষ টাকা।


ঘটনার সূত্রপাত ২০১৬ সালে। ঘাটালের স্বর্ণ ব্যবসায়ী চন্দন মাঝির অভিযোগ, নোট বাতিলের সময় দাসপুর থানার ওসি প্রদীপ রথ সহ চারজন তাঁর কাছ থেকে সোনা কিনতে চান। বাতিল পাঁচশো ও হাজারের নোট নিয়ে সোনা বিক্রি করলে নতুন নোটে দ্বিগুণ টাকার টোপ দেওয়া হয়। চন্দনের দাবি, এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কয়েকদিন পর তাঁর কাছে আসেন দাসপুর থানার এক কনস্টেবল, পুলিশের এক গাড়ির চালক এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী বিমল ঘোড়াই। মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে, কোনও টাকা না দিয়েই তাঁরা ৩৭৫ গ্রাম সোনা নিয়ে নেন।

এই ব্যবসায়ীর দাবি, পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেও লাভ হয়নি। সম্প্রতি ঘাটাল আদালতে মামলা করেন চন্দন। সিআইডি-কে তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। সেই মামলায় ইতিমধ্যে অভিযুক্ত বিমল ও ভারতীর আবাসনের কেয়ারটেকার রাজমঙ্গল সিংহকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তে আরও দুই পুলিশ অফিসারের নাম উঠে আসায় এবার তাঁদেরও গ্রেফতার করল সিআইডি।

তদন্তকারীদের অনুমান, শুধু একজন ব্যবসায়ী নন, এমন আরও অনেক ব্যবসায়ী কাছ থেকেই সোনা হাতিয়ে নেওয়া হয়ে থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে হয়তো ভয়ে অভিযোগ জানানোর সাহস পাননি তাঁরা। সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখছে সিআইডি।

এসবের মধ্যেই শনিবার ফের ভারতী ঘোষের স্বামী এম এ ভি রাজুকে ভবানীভবনে তলব করা হয়েছে। এর আগে তলব করলেও আইনজীবী মারফৎ অসুস্থার কথা জানিয়ে হাজিরা দেননি রাজু।