অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: কথায় বলে- রক্ত দান, জীবন দান। কিন্তু তা নিয়েও চলছিল কালোবাজারি। চড়া দামে রক্ত কেনা-বেচার অভিযোগ উঠল। কাঠগড়ায় মালদা মেডিক্যাল কলেজের ব্লাড ব্যাঙ্ক। ঘটনায় ওই ব্লাড ব্যাঙ্কের এক গ্রুপ ডি কর্মীসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মালদা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের।
সিনেমা নয়, বাস্তবে এই অভিযোগই উঠেছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। যে রক্ত কেনা-বেচা নিষিদ্ধ। তা পেতেই সাধারণ মানুষকে মোটা টাকা খরচ করতে হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে এমনটাই। ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজের ব্লাড ব্যাঙ্কের এক গ্রুপ ডি কর্মী-সহ ৩ জনকে। রোগীর আত্মীয় প্রভাব হেমব্রমের কথায়, 'রক্ত নিয়ে দালালি হলে তো সত্যিই সমস্যা, সাধারণ মানুষ যাবেন কোথায়।'
বেশ কিছু দিন ধরেই মালদহ মেডিক্যাল কলেজে এমন একটি চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছিল। পুলিশের কাছেও সে অভিযোগ পৌঁছয়। সেই চক্রকে নাগালে পেতে মুখিয়েই ছিল ইংরেজাবাজার থানা। পুলিশ সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে বেশ কিছুদিন ধরেই রক্তের কালোবাজারির অভিযোগ আসছিল। সেই খবরের ভিত্তিতেই অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে মালদা মেডিক্যালের ব্লাড ব্যাঙ্ক সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় সুজিত রায়, মলয় কুণ্ডু ও দেবব্রত দত্তকে। গ্রুপ ডি-এর ওই কর্মীর বাড়ি ইংরেজবাজার পুর এলাকার পুরাটুলিতে। বাকি দু-জনও মালদার বাসিন্দা।
যদিও মালদা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মালদা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আমাদের কাছে কেউ কোনও অভিযোগ করেনি। শুনেছি এরকম ঘটনা ঘটেছে, পুলিশ কোনও তথ্য দেয়নি। আমি এবং ভাইস প্রিন্সিপাল গেছিলাম ব্লাড ব্যাঙ্কে, গোটা বিষয়টা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতদের এদিন আদালতে তোলা হয়। কীভাবে এই কারবার চলত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এমনিতেই জেলা জুড়ে রক্তসঙ্কট চলছে। মালদহ মেডিক্যাল কলেজের ব্লাড ব্যাঙ্কেও রক্তের আকাল রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এমন ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে।