কলকাতা: শহর থেকে জেলা, ফের বেপরোয়া যান। পরিণামে একের পর এক দুর্ঘটনা। প্রাণ গেল মেয়ে-বাবা সহ ৩ জনের। আহত বেশ কয়েকজন।
রবিবার দুপুর ২টো নাগাদ হাওড়ায় কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে মৌখালি মোড়ে মোটর বাইকে ধাক্কা মারে হাওড়া ক্ষীরপাই রুটের একটি বাস। দুর্ঘটনায় বাইকে থাকা বাবা ও মেয়ে রাস্তায় ছিটকে পড়েল পিছন থেকে আসা একটি লরি তাঁদের পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের।
মৃত নঈম আনসারি, মেয়েকে নিয়ে হাওড়ার উলুবেড়িয়া থেকে মৌরিগ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। ঘটনার পর বাসটিকে আটক করলেও ঘাতক লরিটির খোঁজ পাওয়া যায়নি। বাসের চালক পলাতক।
এদিনই সকাল ১০টা নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় ট্রাক্টরের সঙ্গে বাইকের মুখোমুখি ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক গৃহবধূর। যিনি বাইকের পিছনে বসেছিলেন।নাম মারিয়াম বিবি। ঘটনার পর ট্রাক্টরে ভাঙচুর চালান এলাকাবাসীরা। দেহ আটকে রেখে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখানো হয়। ঘাতক ট্রাক্টরের চালক পলাতক।
শনিবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের নয়াগ্রামে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বরযাত্রীদের বাস। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে নেমে যায়। আহত হন ২৫ জন।
রবিবার, কলকাতাতেও দুটি দুর্ঘটনা ঘটে। সকালে, কালীতলা-হাওড়া রুটের একটি বেপরোয়া মিনি বাস, রাসবিহারী মোড়ের কাছে সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাপ নির্ভর ট্যাক্সিতে ধাক্কা মারে। ঘটনায় ট্যাক্সির যাত্রী সহ বাসের মধ্যে থাকা ১০জন আহত হন।
এরপর, বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ মা ফ্লাইওভারের উপর পার্ক সার্কাসের দিকে প্রবল গতিতে আসা একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারলে, মারাত্মক জখম হন গাড়ির চালক।