পূর্ব বর্ধমান: খুন করে যৌন নির্যাতনের পর সাড়ে পাঁচ বছরের শিশুকন্যার মৃতদেহ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ। পূর্ব বর্ধমানের ঘটনা। গ্রেফতার প্রতিবেশী যুবক।
প্রতিবেশী যুবককে ‘মামা’ বলে ডাকত সে। চকোলেট, চানাচুরের কথা শুনলেই ঝাঁপিয়ে পড়ত কোলে। সেই মামার বিরুদ্ধেই খুন করে ধর্ষণের পর মৃতদেহ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের খাসপুরে।
পরিবারের দাবি, সাড়ে পাচ বছরের শিশুকন্যাকে চানাচুর খাওয়ানোর কথা বলে বুধবার সন্ধ্যায় নিয়ে যান সম্পর্কে মামা, জাহাঙ্গীর শেখ। রাত পর্যন্ত না ফেরার প্রতিবেশী যুবক জাহাঙ্গীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন শিশুর বাড়ির লোকেরা। জাহাঙ্গীর জানান, হাতে চানাচুর দিয়ে শিশুকন্যাকে সে বাড়ির কাছেই ছেড়ে দিয়েছিল।
স্থানীয়দের দাবি, জাহাঙ্গীরের পায়ে বালি ও কাদা লেগে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের। শুরু হয় মারধর। পরিবার ও প্রতিবেশীদের দাবি, অভিযুক্ত স্বীকার করে, ধর্ষণের পর খুন করে দেহ পুঁতে দিয়েছে সে। যদিও পরিবারের দাবি, খুন করার পর ধর্ষণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশে একটি জায়গায় বালির স্তূপের নীচে পাওয়া যায় শিশুর মৃতদেহ। অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর শেখকে গ্রেফতার করেছে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। শুক্রবার হবে ময়নাতদন্ত।