কলকাতা: মুম্বই থেকে কলকাতা আসার পথে এয়ার টার্বুল্যান্সের কবলে বিমান। আহত ৮ যাত্রী। তিনজনের আঘাত গুরুতর। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁদের। জানা যাচ্ছে, বিকেল ৫টায় কলকাতা এয়ার ভিস্তারার বিমানের অবতরণ করার সময় বিমানটি এয়ার টার্বুল্যান্সের কবলে পড়ে। কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা যেমনটা জানিয়েছেন।
অবতরণের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া তখন সবে শুরু করেছিলেন ক্যাপ্টেন, যখন কলকাতার আকাশ জুড়ে চলছে ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি। এই সময়েই ২০ হাজার থেকে ১৭ হাজার ফিট উচ্চতাতে নামার সময়ে এয়ার টার্বুল্যান্সে পড়ে বিমানটি। আবহাওয়া খারাপ থাকার জন্য ব্যাপক ঝাঁকুনি হয়। অবতরণের সঙ্কেত তখনও দেওয়া হয়নি, যাত্রীরাও তাই প্রস্তুত ছিলেন না।
জানা যাচ্ছে, এক বয়স্ক ব্যক্তির কাঁধের হাড় সরে গিয়েছে। একজন মহিলার ডান হাত ভেঙেছে। আরও একজনের কপালে ভালোরকম আঘাত লেগেছে। তাদের তিনজনকে বিমানবন্দরের কাছে থাকা এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। অবশ্য আঘাতপ্রাপ্ত বাকি পাঁচ বিমানযাত্রীকে ফার্স্ট এডের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিমানসংস্থার পক্ষে পরে জানানো হয়, ল্যান্ডিংয়ের মিনিট পনেরো আগে আগে প্রচণ্ড এয়ার টার্বুলেন্সের মধ্যে পড়ে মুম্বই-কলকাতার মধ্যে চলাচলকারী ইউকে ৭৭৫। বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হন, কলকাতায় ল্যান্ডিংয়ের পর তাদের ফার্স্ট এড চিকিৎসা করা হয় ও কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। গোটা ঘটনার দ্রুতগতিতে তদন্ত করে দেখব আমরা।
এমনিতেই সোমবার কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ের প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। হুগলিতে ৯, মুর্শিদাবাদে ৯ ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ২ জন সহ দক্ষিণবঙ্গে মোট ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে এদিন।
উল্লেখ্য, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের গতকালের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, আগামী ১১ জুন উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের হাত ধরে ঢুকবে বর্ষা। ততদিন পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে গরম এবং অস্বস্তি বজায় থাকবে। তবে মাঝেমধ্যেই প্রাক-বর্ষার বৃষ্টি কিছুটা স্বস্তি এনে দিতে পারে। কলকাতার পাশাপাশি, রবিবার বৃষ্টি হয়েছিল বিভিন্ন জেলাতেও। বীরভূমে আচমকাই বজ্রবিদ্যুত্সহ বৃষ্টি হয়। বীরভূমের সিউড়িতেও বজ্রবিদ্যুত্ সহ বৃষ্টি হয়। অন্যদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরে মহিষাদলে অমৃতবেড়িয়ায় ঝড়-বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ে গাছ। ছিঁড়ে যায় বিদ্যুতের তার। বৃষ্টি হয় হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কিছু জায়গায়।