পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: জলের অপর নাম জীবন। ছোটবেলা থেকেই জানা এই প্রবাদ বাক্য। আর সেই জল নিয়ে এবার রাজনীতির অভিযোগ। বাঁকুড়ার ২ নম্বর ব্লকের মানপাড়া গ্রামে নলবাহিত জল পরিষেবা অকেজো বলে অভিযোগ। তার ফলে সঙ্কটে ২০০ পরিবার। পানীয় জলের জন্য একটিমাত্র টিউবঅয়েলের ভরসায় আছেন সবাই। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে বিজেপি-তৃণমূল সংঘাত।
রাজস্থানের জালোরে জল না পেয়ে ৬ বছরের শিশুকন্যার মৃত্যুর অভিযোগ নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। আর সেই পানীয় জল নিয়েই রাজনীতির জল ঘোলা হচ্ছে রাজস্থান থেকে বহু দূরে, বাঁকুড়ায়। বিধানসভা ভোট মিটলেও বাঁকুড়ায় রাজনীতির উত্তাপ কমেনি। এরই মধ্যে বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের মানপাড়া গ্রামে, পানীয় জল সরবরাহ নিয়ে বিজেপি আর তৃণমূলের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। মানপাড়ার বাসিন্দা মৌ মল্ল বলেন, আমাদের জল নেই, জলের সমস্যা, প্রশাসনকে বহুবার বলেছি কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
অভিযোগ, মানপাড়া গ্রামে টাইম কলে জল মিলছে না। আর তার জেরে সমস্যায় মানুষ। এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। মানপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, ভোটের আগে তড়িঘড়ি ২০০ পরিবারের জন্য নল বাহিত জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু, এখন কী তার অবস্থা? গ্রামবাসীদের অভিযোগ, জলের ট্যাপ তো বসেছে। কিন্তু কোনওটিই কাজ করে না। তাই গ্রামের ২০০ পরিবারের পানীয় জলের চাহিদা মেটানোর একমাত্র উপায় এই টিউবঅয়েল।
বাঁকুড়ায় প্রতিবারের ভোটের ইস্যু হয় জলের সমস্যা। জল সঙ্কটে ভোগা মৌ মল্ল, মীরা মানদের সমস্যার সমাধান এখনও অধরাই। এই বিষয়ে বিজেপির অভিযোগ, ওন্দা বিধানসভায় যেহেতু তৃণমূল হেরেছে, তাই তারা জল নিয়ে রাজনীতি করছে। বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের মানপাড়ার বিজেপি নেতা সন্তোষ পাণ্ডে বলেন, বিজেপি জয়লাভ করায় শাসক দল ও প্রশাসন জল নিয়ে রাজনীতি করছে। অভিযোগ অস্বীকার করে প্রযুক্তির সমস্যাকে দায়ী করেছেন তৃণমূল পরিচালিত বিকনা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। তৃণমূল নেতা তথা বাঁকুড়া বিকনা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, পাইপ লাইনে প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরী দপ্তরকে পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে।