কলকাতা: সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায়কে আইনি নোটিস পাঠালেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।


এই নোটিশে বলা হয়েছে, ‘বিশ্ববাংলা সংক্রান্ত মুকুল রায়ের সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন।‘জাগো বাংলা সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগও ভিত্তিহীন।অভিষেক বিশ্ববাংলা বা জাগো বাংলার মালিক নন। তিনি কোনও শেয়ারহোল্ডারও নন।‘অভিষেক বিশ্বকাপের স্পনসরার, এই অভিযোগ হাস্যকর।এ ধরনের অভিযোগ চক্রান্তমূলক।

লাভের জন্য তৃণমূলের প্রতীক ব্যবহারের অভিযোগও মিথ্যা। অভিষেক এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সম্মান হানির চেষ্টা। মুকুল রায় জনসভায় যা বলছেন, নথি দেখাচ্ছেন, তা জাল।সদ্য অন্য পার্টিতে যোগ দিয়েছেন, চমক দিতে চাইছেন।‘বিজেপি নেতৃত্বের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে চাইছেন’।

আইনি নোটিসে দাবি করা হয়েছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ক্ষমা চাইতে হবে মুকুলকে। না হলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

‘বিশ্ববাংলা’ আদতে একটি বেসরকারি সংস্থা। যার মালিক যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুকুল বলেন, ‘বিশ্বকাপ ফুটবল স্পনসর করেছিল বিশ্ববাংলা। এই বিশ্ববাংলা কোনও সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়, এটা একটা কোম্পানি। যার মালিকের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিকানা, ৩০বি, হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিট।’’ যা কি না মুখ্যমন্ত্রীরই বাড়ির ঠিকানা।

এই অভিযোগ খারিজ করে  স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্য বলেন, ‘একটি জনসভায় মুকুল রায় বলেছেন বিশ্ববাংলা ব্র্যান্ডটি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সম্পত্তি। এটা একেবারেই ভুল এবং ভিত্তিহীন! বিশ্ববাংলা ব্র্যান্ড এবং লোগোটি পুরোপুরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৃষ্টি। উনি স্বেচ্ছায় ওই ব্র্যান্ড এবং লোগোটি রাজ্য সরকারকে দিয়েছেন।’

তৃণমূলও এই অভিযোগ খারিজ করে দেয়।

জাগো বাংলা নিয়ে মুকুলের অভিযোগ নস্যাত করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, মুকুল জানেন না, জাগো বাংলা কীভাবে লেখা হত! মমতা নিজের মাইনে দিতেন। আমার বাড়িতে লেখা হত। কীভাবে রেজিস্ট্রি কিছুই জানেন না। তরুণ প্রজন্মকে আনতে বারবার বাধা দিয়েছেন। এখন তার কারণ বোঝা গেল। জাগো বাংলা নিয়ে যা বলেছে প্রমাণ করতে পারলে পদ ছেড়ে দেব।