কলকাতা: রামনবমী, হনুমানজয়ন্তীর পর এবার রথযাত্রাতেও সামিল হচ্ছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপি সূত্রে দাবি, জেলায় জেলায় যে বড় বড় রথযাত্রার আয়োজন করা হয়, তাতে অংশ নেবেন নেতারা।
রাজ্য বিজেপি সূত্রে দাবি, বিভিন্ন জেলায় বড় বড় যে রথযাত্রাগুলির আয়োজন করা হয়, তাতে এবছর অংশ নেবেন বিজেপি নেতারা। বিভিন্ন জায়গায় রথযাত্রার উত্সবে সামিল হতে পারেন বিজেপি কর্মীরাও।
এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়েছে, হাওড়ার সবথেকে বড় রথযাত্রায় যোগ দেবেন এরাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। খড়গপুরে রথযাত্রায় অংশ নেবেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
রাজ্য বিজেপি সূত্রে দাবি, কয়েকবছর ধরেই বিখ্যাত রথযাত্রার আয়োজকরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। কিন্তু, সেই আবেদনে এতদিন সাড়া দেওয়া হয়নি।
সম্প্রতি আরএসএস-র রাজ্য সদর দফতর কেশব ভবনে সমন্বয় বৈঠকে এই প্রসঙ্গটি ওঠে। যেখানে রাজ্য বিজেপি নেতারা বলেন, এবার এই আবেদনে সাড়া দেওয়া যেতে পারে।
আলোচনার ভিত্তিতে এনিয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয় দিল্লিতে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র কাছে। সেখান থেকেও এবিষয়ে অনুমোদন মিলেছে বলে রাজ্য বিজেপি সূত্রে দাবি। তৃণমূলের পাল্টা কটাক্ষ এসব করে বিজেপির কোনও লাভ হবে না।
সম্প্রতি রামনবমী এবং হনুমানজয়ন্তী উপলক্ষ্যে সশস্ত্র মিছিলে বিজেপি নেতাদের অংশগ্রহণ ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে কার্যত তুলকালাম হয়েছে। তা নিয়ে এখনও বিজেপিকে লাগাতার আক্রমণ শানিয়ে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই প্রেক্ষিতে রথযাত্রার গুরুত্ব অন্যদের চেয়ে অনেকটাই আলাদা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাদের মতে, এরাজ্যে রামনবমী বা হনুমান জয়ন্তীর থেকে রথযাত্রা অনেক পরিচিত উৎসব। বহু পরিবারে এই উৎসব পালিত হয়। আর এটা রাজ্য বিজেপিও জানে। তাই এই উৎসবের মধ্যে দিয়ে তারা আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছতে চাইছে।
রামনবমী বা হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষ্যে কর্মসূচি ঘিরে বিস্তর চাপানউতোর হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এবার রথের রশিতে টান পড়া ঘিরে রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি শুরু হয় কি না সেটাই দেখার।