আক্রমণ শানাতে গিয়ে ২০১৮ সালের পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোকে রাজ্যের ঘটে যাওয়া অপরাধের তালিকা দেয়নি বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দেশের সব রাজ্য যেখানে তাদের রাজ্যে ঘটা অপরাধের তালিকা পেশ করে সেখানে বাংলা কেন তা পেশ করে না জানতে চান অমিত শাহ। যার পরই তাঁর আক্রমণ, কী লুকোচ্ছেন আপনারা? কেনই বা লুকোতে হচ্ছে? বিজেপি শাসিত যে কোনও রাজ্যে ঘটা অপরাধের তালিকা মিলিয়ে রাজ্যের শাসকদলের যে কোনও নেতার মুখোমুখি বসে তর্ক করতেও তাঁর দল রাজি বলে জানান বিজেপি নেতা।
চড়া সুরে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আক্রমণের মাঝেই অমিত শাহ নিশানা করেন বাংলায় মহিলাদের উপর ঘটা অপরাধ নিয়ে। সাত দফা প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি। ২০১৮ সালে রাজ্যের দেওয়া তালিকার ভিত্তিতে তিনি অভিযোগ করেন, মহিলাদের বিরুদ্ধে ঘটা অপরাধে দেশে তিন নম্বরে বাংলা। ধর্ষণের চেষ্টা, অ্যাসিড আক্রমণে শীর্ষে। মহিলাদের নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়ায় দুই নম্বরে ও নিরুদ্দেশ মহিলাদের খুঁজে বের না করার ভিত্তিতে দেশের এক নম্বরে বাংলা রয়েছে বলেই অভিযোগ তাঁর।
সবশেষে অমিতের তোপ, মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধের ভিত্তিতে যে অভিযোগ নথিভুক্ত হয়ে থাকে, তার মাত্র ৫.৩ শতাংশ ক্ষেত্রে সুবিচার পান মহিলারা। যেখানে গোটা দেশে পরিসংখ্যানটা ২৩ শতাংশ। যার পরই অমিতের খোঁচা, ‘আপনি নিজে মহিলা হয়েও মহিলাদের বিরুদ্ধে বাংলায় এত অবিচার কেন মমতা দিদি? আপনার আত্মনিরীক্ষণ প্রয়োজন।'
অমিত শাহের নারী নিরাপত্তা নিয়ে শানানো অভিযোগের ভিত্তিতে পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেছেন, ‘হাথরসে এত কিছু হল, তা সন্ত্রাস নয়? তখন কেন নীরব ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ?’