কলকাতা: বছর ঘুরলে বঙ্গে বিধানসভা ভোট। উৎসবের মরসুম পেরোলেই, প্রস্তুতি শুরু করে দেবে বিজেপি।শুক্রবার সাংগঠনিক বৈঠক থেকে তার দিকনির্দেশ করে দিলেন অমিত শাহ। সূত্রের দাবি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার বলেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
সম্প্রতি বিহার ভোটের প্রচারে নরেন্দ্র মোদির মুখে বারবার উঠে এসেছে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার থেকে রামমন্দিরের প্রসঙ্গ। এবার বাংলার ভোটেও কি বিজেপির হাতিয়ার এই ইস্যু? সূত্রের দাবি, জল্পনা উস্কে দিয়ে অমিত শাহ বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে বলেন, বিজেপি যে প্রতিশ্রুতি দেয়, তা করে দেখায়। কোনও রক্তপাত ছাড়া কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। রামমন্দির তৈরির রাস্তা পরিষ্কার হয়েছে। পাল্টা তৃণমূল নেতা ও বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ওরা ক্ষমতায় আছে বটে, কিন্তু আইন কার্যকর করে রাজ্য সরকার। মমতা বলে দিয়েছেন, এরাজ্যে হবে না। মমতা যতদিন ক্ষমতায়, এখানে হবে না। ওরা বিভাজনের পরিকল্পনা করছে বলেও বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি।
বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতিতে বুথভিত্তিক কর্মসূচির ওপর জোর দিয়েছেন অমিত শাহ। সূত্রের দাবি, সাংগঠনিক বৈঠকে তিনি বলেন, বুথগুলোতে জোর দিতে হবে। বিজেপির বিভিন্ন মোর্চার তরফে বিধানসভা ভিত্তিক কর্মসূচি নিতে হবে। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিভিন্ন ব্লকেও কর্মসূচি রাখতে হবে। লোকসভা ভোটের পর জনসংযোগের লক্ষ্যে তৃণমূল নেতাদের গ্রামে গিয়ে রাত্রিবাসের নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের দাবি, বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি-কর্মসূচি হিসেবে অমিত শাহও নির্দেশ দিয়েছেন, নেতাদের বিভিন্ন জেলায় গিয়ে রাত্রিবাস করতে হবে।
দলকে শক্তিশালী করতে অন্য দল থেকে দক্ষ সংগঠকদের জন্য দরজা খুলে রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সূত্রের দাবি, তিনি বলেন, সিপিএম-কংগ্রেস-তৃণমূল থেকে যারা আসতে চায়, ভোট বোঝে, আনতে হবে। তবে অমিত শাহের বক্তব্যকে কটাক্ষ করে শোভনদেব বলেন, যোগদান কেউ করবে না। বিজেপি ছেড়ে লোকে চলে আসছে। উনি আশা করতেই পারেন। কিন্তু তা পূরণ হবে না।
এর আগে বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার সাংগঠনিক বৈঠকে অমিত শাহ দাবি করেন, গত লোকসভা ভোটে সিপিএমের অনেকে বিজেপিতে যোগ না দিয়েও, আমাদের সাহায্য করেন। এবার তাদের দলে টানার চেষ্টা করতে হবে। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে কড়া জবাব দিয়েছে সিপিএম।