বীরভূম: গরু গোয়ালেই ফিরে আসে, মুকুল রায়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে এমনটাই মন্তব্য় করলেন বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবারবিকেলেই তৃণমূল ভবনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে জোড়াফুল শিবিরে যোগ দিলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়।
প্রায় সাড়ে তিন বছর পর তৃণমূলে ফিরলেন মুকুল রায়ন। একদা দলের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড ছিলেন তিনি। চলে গিয়েছিলেন বিজেপিতে। এবার সেই মুকুলের ঘর ওয়াপসিকেই গোয়ালে গোরুর ফেরার সঙ্গে তুলনা করলেন অনুব্রত মণ্ডল।
এ দিন অনুব্রত বলেন, 'গোয়ালে অনেক গরুই থাকে, রাতে দড়ি ছিঁড়ে বেরিয়ে যায়, সকালে আবার ফিরে আসে।' শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয় অনুব্রত মণ্ডল। মুকুলকে নিয়ে কটাক্ষের সুর চড়িয়ে তাঁর বক্তব্য, 'নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা সিদ্ধান্ত নেবেন তাই হবে। দলের সুপ্রীমো যা বলবে তাই হবে। দল যদি মনে করেন মুকুল রায়কে নেবে, তাহলে নেবে।
মুকুলের চানক্য নামকে কটাক্ষ করে অনুব্রত বলেন, 'আগে সংবাদমাধ্যমে শুনতাম মুকুল নাকি তৃণমূলের চাণক্য। একুশের নির্বাচনে তো মুকুল ছিলেন না। কিন্তু বড় জয় পেয়েছে তৃণমূল। এতেই প্রমাণ হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আসল চাণক্য।'
বঙ্গ বিজেপিতে ভাঙন ধরিয়ে ছেলে শুভ্রাংশুকে নিয়ে তৃণমূলে ফিরলেন মুকুল রায়। তৃণমূল ভবনে তাঁদের উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরল। মুকুলকে স্বাগত জানিয়ে এদিন বললেন তৃণমূল নেত্রী। নতুন ইনিংসের জন্য শুভেচ্ছা। অন্যদিকে বিজেপির কটাক্ষ, দলে থেকে বিশেষ লাভ হয়নি। ইতিমধ্যেই মুকুলের প্রত্যাবর্তন ঘিরে একাধিক মন্তব্য এসেছে। বিজেপি থেকে বাম-কং সকলেই মন্তব্য করেছেন মুকুলের তৃণমূলে যোগদান নিয়ে।
তবে ভোট প্রচারে অন্যান্য নেতৃত্বরা একে অপরকে আক্রমণ শানালেও একবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণের রাস্তায় হাঁটেননি মুকুল রায়। অন্যদিকে, তৃণমূলনেত্রীও মুকুলের প্রতি তাঁর নরম মনোভাব স্পষ্ট করে দিয়েছেন। সেখান থেকেই কি মুকুলের প্রত্যাবর্তনের প্রেক্ষাপট তৈরি হচ্ছিল? আপাতত তেমনটাই মনে করছেন অনেকে।