মালদা:  স্বাধীনতা দিবসের সকালে মালদায় অস্ত্র কারখানার হদিশ। উদ্ধার প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও জাল নোট। গ্রেফতার ৬। পুলিশ সূত্রে দাবি, মুঙ্গের থেকে কারিগর এনে এখানে অস্ত্র তৈরি হত।


রবিবার রাতে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে অস্ত্র পাচারের চেষ্টা ভেস্তে দিয়েছে পুলিশ। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাশের জেলা মালদায় খোঁজ মিলল অস্ত্র কারখানার! পুলিশ জানিয়েছে, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে কালিয়াচকের দেবীপুর গ্রামের এক বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। ভিতরে ঢোকামাত্রই চক্ষু ছানাবড়া হয়ে যায় পুলিশকর্মীদের! উদ্ধার হয়,  সেভেন এমএম ও নাইন এমএম মিলিয়ে ৪৮টি পিস্তল। প্রচুর সংখ্যায় অসম্পূর্ণ রিভলভার, আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির যন্ত্রপাতি এবং ড্রিল মেশিন উদ্ধার হয়েছে।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে, যে জায়গায় এই অস্ত্রভাণ্ডারের হদিশ মিলেছে,  সেখান থেকে ৫ কিলোমিটারের মধ্যেই বাংলাদেশ সীমান্ত! উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে ধৃতদের কাছ থেকে জাল নোট উদ্ধারের ঘটনা! পাওয়া গিয়েছে, ২৫টি জাল ২ হাজার টাকার নোট!

পুলিশ সূত্রে দাবি, তদন্তকারীরা মনে করছেন, কালিয়াচকের দেবীপুর থেকে তৈরি হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, ঝাড়খণ্ড, এমনকি বাংলাদেশেও পাচার করা হত!

অস্ত্র কারখানা থেকে ধৃত ৬ জনই মুঙ্গেরের বাসিন্দা! পুলিশ সূত্রে দাবি, তদন্তকারীরা মনে করছেন, স্বাধীনতা দিবসে বড়সড় নাশকতার ঘটানোর ছক ছিল ধৃতদের।

এদিকে এই ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা বাড়ির মালিক লুতফল হক! স্থানীয় সূত্রে দাবি, এই ব্যক্তি এলাকায় তৃণমূলকর্মী হিসেবে পরিচিত।যদিও তৃণমূলের জেলা তৃণমূল সভাপতির দাবি,দেবীপুর, কালিয়াচক এলাকায় ওই নামে আমাদের কোনও কর্মী নেই। ধরা পড়লে তৃণমূল বলাটা এখন কালচার হয়ে দাঁড়িয়েছে!

পুলিশ বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে এটাই মালদায় সবচেয়ে বড় অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা! ধৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এই অস্ত্র কারবারিদের পিছনে কোন চক্র রয়েছে, তাও জানার চেষ্টা করছেন