দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ফের অস্ত্র কারখানার সন্ধান পেল পুলিশ। কারিগররা পালিয়ে গেলেও ধরা পড়ল বাড়ির মালিক।‍ পুলিশের উদ্বেগ বাড়িয়ে উদ্ধার হল নাইন এমএম-এর মতো বিভিন্ন রকমের অত্যাধুনিক পিস্তল!

সেভেন এমএম, নাইন এমএম, কিম্বা সেমি অটোমেটিক-এই সব পিস্তলের জন্য বিহারের মুঙ্গেরের দিকেই চেয়ে থাকে অন্ধকার জগত! কিন্তু কলকাতার উপকণ্ঠেও যে, এই সব অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি হচ্ছে, তা এতদিন টেরও পায়নি পুলিশ! যখন জানতে পারল, তখন খাঁচা থেকে পাখি ফুরুত!

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, রবিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রবীন্দ্রনগরের ‘নিউ পাঁচুর মোল্লাপাড়া’য় এই বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এক তলার তালাবন্ধ দুটি ঘর থেকে উদ্ধার হয় নাইন এমএম, সেভেন এমএম এবং সেমি অটোমেটিক মিলিয়ে ৩০টি অত্যাধুনিক পিস্তল।পাওয়া যায় প্রচুর ম্যাগাজিন, পিস্তল ও গুলি তৈরির তৈরির সরঞ্জাম। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অস্ত্র কারখানার ৫টি লেদ মেশিন।

পুলিশ সূত্রে দাবি, ৬-৭ মাস আগে বিহারের বাসিন্দা ৫-৬ জন একতলার দুটি ঘর ভাড়া নেয়। তারাই এই পিস্তল কারখানা চালাত। আগ্নেয়াস্ত্রের কারিগররা পালিয়ে গেলেও, বাড়ির মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও পুলিশ সূত্রে দাবি, তদন্তে উঠে এসেছে, ৭০ হাজার টাকা অগ্রিমের বিনিময়ে ভাড়া দেওয়া হয়। অস্ত্র কারখানা সম্পর্কে সবটাই জানতেন বাড়ির মালিক। এক ব্যক্তি ভাড়াটিয়াদের সন্ধান দিয়েছিল।

কিন্তু কোথায় যেত এই সব পিস্তল ও কার্তুজ? পুলিশ সূত্রে দাবি, কলকাতা বন্দর সংলগ্ন এলাকা, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র পাচার করা হত। চোরাপথে তা পৌঁছে যেত উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায়। কারা এই অস্ত্র কিনত, এবং কে বাড়ির মালিকের সঙ্গে ভাড়াটিয়াদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

সাম্প্রতিককালে, রাজ্যে যে সব অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলেছে, সেগুলিতে ওয়ান শটার জাতীয় দেশি বন্দুক কিম্বা গুলি তৈরি হত। অত্যাধুনিক পিস্তল তৈরি কারখানার খোঁজ মিলল এই প্রথম! যা নিয়ে গোয়েন্দাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ!