পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট তিনি আসলে সর্বস্তরে বার্তাটা দিয়ে রাখলেন! বুঝিয়ে দিলেন, নেতা-বিধায়ক-সাংসদ-মন্ত্রী যেই হোন না কেন, কারোর বিরুদ্ধে তোলাবাজির বিন্দুমাত্র অভিযোগ উঠলেও, নেমে আসবে শাস্তির খাঁড়া। সূত্রের খবর, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ আসার পরই দলীয়স্তরে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই রিপোর্ট জমা পড়ার পর তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। সূত্রের খবর, সোমবারই তৃণমূল কাউন্সিলরকে গ্রেফতারির নির্দেশ দিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে সর্বস্তরে বার্তা দিয়ে এও বুঝিয়েও দিলেন, তোলাবাজি বরদাস্ত নয়। পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পেরেছেন, তৃণমূলের ভাবমূর্তি মানে তাঁরই ভাবমূর্তি। দলের কেউ কিছু করলে, ধাক্কা খাবে তাঁরই ইমেজ। তৃণমূলের প্রথম সরকারের আমলে যখনই নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক-সাংসদের বিরুদ্ধে নানা সময় তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে, তখনই বিরোধীরা নিশানা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি। এবারও অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগকারী বিধাননগরের বাসিন্দা অরুণাভ মুখোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীকে যে চিঠি লিখেছিলেন, সেখানে তিনি লেখেন,
মিস্টার চট্টোপাধ্যায়ের মতো ব্যক্তির আচরণের ফলেই বিনিয়োগকারীরা পশ্চিমবঙ্গে আসছেন না এবং অনেকেই বিহারের মতো এ রাজ্য থেকেও রুজি-রুটির জন্য ভিনরাজ্যে চলে যাচ্ছে।
পর্যবেক্ষকদের একাংশের ব্যাখ্যা, মুখ্যমন্ত্রী নিজের দলের কাউন্সিলরকেই গ্রেফতার করিয়ে সবাইকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন, যে, কেউ তোলাবাজির সঙ্গে যুক্ত থাকলে পরিণতি কিন্তু অনিন্দ চট্টোপাধ্যায়ের মতোই হবে।