বিধায়কের দাবি, বিবাদের সূত্রপাত কোন্নগর স্টেশন থেকে দিল্লি রোড পর্যন্ত রাস্তা সারাই নিয়ে। অভিযোগ, তিনি বারবার জানানো সত্ত্বেও রাস্তা মেরামতির ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়নি তৃণমূল পরিচালিত কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবের দাদা আচ্ছেলাল যাদব এই পঞ্চায়েতের প্রধান। প্রবীর ঘোষাল বলেছেন, 'গাড়ি চলা তো দূরের কথা, রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ যে মানুষও চলাচল করতে পারেন না। দিদিকে বলো, দুয়ারে সরকার সব জায়গাতেই বলেছি, কিন্তু কোথাও কাজ হয়নি। তাই বিরক্ত, বীতশ্রদ্ধ হয়ে মুখ খুলেছি। একজন ইঞ্জিনিয়ারকে আমারই দলের পঞ্চায়েত প্রধান অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি দিয়েছেন। দলের লোক এসে আমায় বলছে আপনাকে হারিয়ে দেওয়ার জন্য এই রাস্তার কাজ ফেলে রাখা হচ্ছে।'
বিধায়কের অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধানের দাবি, আলঙ্কারিকভাবে বিধায়ক পদে রয়েছেন প্রবীর ঘোষাল, তিনি দলের কাজ করেন না। পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়েছেন, বিধায়ককে কখনই মাঠে ময়দানে দেখা যায় না। দলীয় কোন্দল নিয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
কিছুদিন আগেই প্রথমবার ক্ষোভের সুর শোনা গিয়েছিল তাঁর গলায়। উন্নয়ন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন হুগলির উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। তিনি বলেন, উন্নয়নে ঘাটতি থেকে গেছে। যা মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। এর সমাধান না করতে পারলে বিধানসভা ভোটে লড়াই কঠিন হবে। এই বিষয়ে হুগলির জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, মুখ্যমন্ত্রী দশ বছরে যা কাজ করেছেন, তা আগে কখনই হয়নি।
কয়েক মাস পরেই বঙ্গে হাই প্রোফাইল বিধানসভা নির্বাচন। যার জেরে ক্রমশ রাজনৈতিক পারদ। পাশাপাশি ক্রমেই রাজ্যের শাসক দলের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে একাধিক জনপ্রতিনিধির বেসুরো হওয়া। শুভেন্দু অধিকারী, মিহির গোস্বামী, সুনীল মন্ডলের মতো অনেকেই ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে নাম লিখিয়েছেন বিজেপিতে। আবার অনেকেরই সুর বদলে ক্ষোভ প্রশমিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন। তাদের বেশ কয়েকজনের ক্ষমতা, দায়িত্ববৃদ্ধিও হয়েছে দলে। আবার মাঝে মাঝে অস্বস্তি প্রকাশ করে তৃণমূলের বিড়ম্বনা বাড়াচ্ছেন এমন জনপ্রতিনিধিদের সংখ্যাও কম নয়।