সমীরণ পাল, বারাসাত: করোনায় দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর নিরিখে কলকাতার উপরেই রয়েছে উত্তর চব্বিশ পরগনা। আর তারইসঙ্গে দোসর ডেঙ্গি। গতবছরের মতো এবারও করোনা আবহে উত্তর ২৪ পরগনায় দেখা দিয়েছে ডেঙ্গির প্রকোপ। তবে জেলা স্বাস্থ্য দফতর দাবি করছে, ২০১৯-২০-র তুলনায় এ বছরের ছবিটা অনেকটাই স্বস্তির। বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা এবং জমা জলে গাপ্পি মাছ ছেড়ে জেলায় ডেঙ্গির আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে বলে দাবি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের। 


২০১৯-এ উত্তর চব্বিশ পরগনায় ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছিল ডেঙ্গি। সেবার গোটা জেলায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ২০ হাজারের বেশি মানুষ। সংখ্যাটা অনেক কমে আসে ২০২০-তে। গতবছর মাঝ বর্ষা পর্যন্ত মশা বাহিত রোগের কবলে পড়েছিলেন ১০০-র কাছাকাছি মানুষ। এবছর ৭ জুলাই পর্যন্ত, উত্তর চব্বিশ পরগনায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন আরও কম। ৪৪ জন। এর মধ্যে শহরাঞ্চলে ৩৬ জন, এবং গ্রামাঞ্চলে ৮ জন সংক্রমিত হয়েছেন বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে দাবি।


 জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, পুর এলাকার মধ্যে ভাটপাড়ায় ২ জন, বিধাননগরের ৭ জন, গারুলিয়ায় এক, হাবরায় ৩, কামারহাটি ৪ নিউ ব্যারাকপুরে ২ উত্তর ব্যারাকপুর ৩ উত্তর দমদমে ১, পানিহাটিতে ১,  দক্ষিণ দমদমে ৪ জন, টিটাগড়ে  দু'জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। গ্রাম অঞ্চলের মধ্যে আমডাঙা এক এবং বারাসাত এক নম্বরে একজন,  ব্যারাকপুর এক নম্বরে ১ জন, ব্যারাকপুর দুই নম্বরে ১ জন, দেগঙ্গায় ২ জন, হাবরা ১ নম্বরে ১ জন ও রাজারহাটে ১ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। 


উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ (স্বাস্থ্য ও পরিবেশ স্থায়ী সমিতি) জ্যোতি চক্রবর্তী বলেন, প্রচুর গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছে মশা মারার তেল দেওয়া হয়েছে। নানাভাবে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের জন্য লাগাতার কাজ করেছে। পঞ্চায়েত এবং ভিলেজ রিসোর্সের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁরা ভালো কাজ করেছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতন করেছে মানুষকে।


ডেঙ্গি প্রতিরোধে এদিন অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে অভিযান চালান পুরকর্মীরা। অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভা প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য অনুপ রায় বলেন, আমরা সর্বদাই সতর্ক রয়েছি ডেঙ্গির জন্য আলাদা করে রাখা হয়েছে যেমন করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে ডেঙ্গি নিয়ে সচেতন রয়েছে পুরসভা। সব মিলিয়ে করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গির দাপট কমায় কিছুটা স্বস্তিতে উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দারা।