আবীর দত্ত, কলকাতা: ব্যাঙ্ক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও এই ডাক দিয়ে কলকাতা থেকে দিল্লি যাত্রা করবে ব্যাঙ্ক কর্মীদের সংগঠন। আগামী ২৪ নভেম্বর কলকাতা থেকে শুরু হবে যাত্রা।  দিল্লিতে গিয়ে শেষ হবে আগামী ৩০ নভেম্বর। এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মী ও অফিসাররা।   


রাষ্ট্রায়ত্ত ও গ্রামীণ ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্র। এই অভিযোগে রাস্তায় নামছে ব্যাঙ্ক কর্মীদের সংগঠন।  দেশজুড়ে ব্যাঙ্ক বাঁচাও দেশ বাঁচাও যাত্রা শুরু করছেন সংগঠনের সদস্যরা। অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স  কনফেডারেশনের হুঁশিয়ারি, কেন্দ্র সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে মোদি সরকার এই সংক্রান্ত বিল আনলে, তারা ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের পথে হাঁটবে।   


আরও পড়ুন, এক বছরে দুর্দান্ত রিটার্ন, দেখে নিন টেকনোলজি সেক্টরের সেরা ৫ ফান্ড


অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক, সৌম্য দত্ত বলেন, "সাধারণ মানুষের  ৭ লক্ষ কোটি টাকা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।  কেন্দ্রীয় সরকার ব্যাঙ্ক বিরোধী নীতি নিচ্ছে, তা ব্যাঙ্ক কর্মী ও গ্রাহকদের ক্ষতির কারণ হবে।" আগামী ২৪ থেকে ৩০ নভেম্বর ব্যাঙ্ক বাঁচাও দেশ বাঁচাও যাত্রায় অংশ নেবেন সংগঠনের সদস্যরা।  কলকাতা থেকে শুরু হবে তাঁদের ভারতযাত্রা। দিল্লিতে শেষ।


সৌম্য দত্ত আরও বলেন,কর্মসূচির কথা জানিয়ে বলছে, দিল্লির যন্তরমন্তরে অবস্থান বিক্ষোভ করবেন সদস্যরা।  কৃষকদের আন্দোলন তাঁদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। যদিও ব্যাঙ্ক সংগঠনের কর্তাদের দাবি, তাঁদের এই কর্মসূচি চলাকালীন গ্রাহকদের কোনও সমস্যা হবে না।   


আরও পড়ুন, ফের বাড়ছে ফোনের খরচ, প্রিপেডের চার্জ বৃদ্ধি করছে এয়ারটেল


এদিকে, ‘ব্যাঙ্ক’ শব্দ ব্যবহারের জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) কয়েকটি কো-অপরেটিভ সোসাইটিকে সতর্ক করল। সেইসঙ্গে অ-সদস্য, নমিনাল মেম্বার বা অ্যাসোসিয়েট সদস্যদের কাছ থেকে আমানত গ্রহণের ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে। এভাবে আমানত গ্রহণ  বিআর আইন, ১৯৪৯-এর ধারা ভেঙে ব্যাঙ্কিং ব্যবসার সামিল বলেও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।


এক বিবৃতিতে আরবিআই বলেছে যে, কিছু কো-অপারেটিভ সোসাইটি তাদের নামে ব্যাঙ্ক শব্দ ব্যবহার করছে, যা ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন অ্যাক্ট, ১৯৪৯ ( কো-অপারেটিভ সোসাইটিগুলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য) -এর ধারা সাত লঙ্ঘনের সামিল। এছাড়াও দেখা গিয়েছে যে, কিছু কো-অপারেটিভ সোসাইটি অ-সদস্য, নমিনাল মেম্বার বা অ্যাসোসিয়েট সদস্যদের কাছ থেকে আমানত গ্রহণ করছে বিআর আইন, ১৯৪৯-এর ধারা লঙ্ঘন করে।