পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: এক সদস্যের দলবদলের জেরে বাঁকুড়ার মানকানালি গ্রামপঞ্চায়েত হাতছাড়া হতে চলেছে বিজেপির। তৃণমূলে যোগদানকারী পঞ্চায়েত সদস্যার দাবি, বিজেপির প্রধান ও উপপ্রধান একনায়কতন্ত্র কায়েম করাতেই দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন তিনি। ভয় দেখিয়ে যোগদান করিয়েছে তৃণমূল। পাল্টা অভিযোগ করেছে গেরুয়া শিবির।


এবার বিধানসভা ভোটে তৃণমূল ঝড়ের মধ্যেও, বাঁকুড়া জেলায় নজরকাড়া ফল করেছে বিজেপি।  কিন্তু তারপরও গেরুয়া শিবিরের ভাঙ্গন অব্যাহত। দলে ভাঙ্গনের জেরে বাঁকুড়া ২ নং ব্লকের মানকানালি গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হতে চলেছে বিজেপির।। উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই পঞ্চায়েত দখল করে বিজেপি।  এই পঞ্চায়েতের ১৫ টি আসনের মধ্যে বিজেপি পায় ৮ টি আসন এবং তৃনমূল পায় ৭ টি আসন। আসন সংখ্যা বেশী পেয়ে এই পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করে গেরুয়া শিবির।  


এই পঞ্চায়েতের এক বিজেপি সদস্যা জেলা তৃণমূল ভবনে এসে শাসক দলে  যোগদান করলেন। তৃণমূল ভবনে দলের জেলা সভাপতি বিজেপি ছেড়ে আসা পঞ্চায়েত সদস্যা চিন্তামনি ঘোষের হাতে তৃনমূলের পতাকা তুলে দেন। 


তৃনমূলের জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বলেন, ওই পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য তৃনমূলের যোগদান করায় মানকানালি গ্রাম পঞ্চায়েতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তৃনমূল। এখন ১৫ টি আসনের মধ্যে তৃনমূলের ঝুলিতে ৮ আসন। তাই এই পঞ্চায়েত এবার তৃনমূলের দখলে। 


তিনি বলেছেন, খুব শীঘ্রই এই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রধান ও উপ প্রধান নির্বাচিত করে এই পঞ্চায়েত তৃনমূলের দ্বারা পরিচালিত হবে।


সোমবার বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যার হাত ধরে আরো বেশ কিছু বিজেপি পরিবার তৃনমূলে যোগদান করে বলেই দাবি করা হয়েছে। ওই পঞ্চায়েত সদস্যার অভিযোগ,বিজেপি প্রধান ও উপপ্রধান একনায়ক হয়ে পঞ্চায়েত পরিচালনা করছিলেন। এভাবে পঞ্চায়েতে একনায়কতন্ত্র গড়ে তোলা হয়েছে। অনান্য বিজেপি সদস্যদের অন্ধকারে রেখে এই কাজ করছিলেন প্রধান ও উপপ্রধান। এই পরিস্থিতিতে  তিনি বার বার  অপমানিত হয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃনমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন।


বিজেপির  রাঢ়বঙ্গ জোনের আহ্বায়ক পার্থ কুণ্ডুর অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে দলবদল করানো হচ্ছে। আগামী নির্বাচনে মানুষ এর জবাব দেবে।