বাঁকুড়া: মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি তৃণমূলে থাকবেন কি থাকবেন না - এই নিয়ে জোরাল জল্পনা চলছে। এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অনুগামী বলে পরিচিত বাঁকুড়া জেলা যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ দাস-কে বহিষ্কার করল তৃণমূল।


মাসখানেক আগে বাঁকুড়ার রানিবাঁধে তৃণমূলের সভায় জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বিদ্যুৎ। সেই সময় দলের পক্ষ থেকে তাঁকে শোকজ করা হয়। কিন্তু, বিদ্যুৎ দাসের উত্তর সন্তোষজনক ছিল না বলে দাবি করে জেলা তৃণমূল।


এরপর কালীপুজোর সময় বাঁকুড়ায় শুভেন্দু অধিকারীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন জেলা যুব তৃণমূলের দাপুটে নেতা বিদ্যুৎ। এসবের জেরেই কি তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত? যদিও, বাঁকুড়া তৃণমূল জেলা কমিটির চেয়ারম্যান শুভাশিস বটব্যালের মতে, প্রদেশ তৃণমূলের নির্দেশে দলবিরোধী কাজের জন্য বিদ্যুৎ দাসকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল। শুধুমাত্র একটি কারণ নয়, এই বহিস্কারের পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।


এদিকে বহিষ্কৃত নেতা বিদ্যুৎ দাসের দাবি, কেন তাঁকে বহিষ্কার করা হল, তা তিনি জানেন না। বললেন, আমি এখনো তৃণমূল কংগ্রেসে আছি। দল কি কারণে পরিষ্কার করল জানি না। একইসঙ্গে সাফ জানিয়ে দেন, শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সঙ্গে আজও আছেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন। বললেন, শুভেন্দু দা-র সঙ্গে আছি ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব। আমার দেহরক্ষী ছিল আমি দেহরক্ষীকে সরিয়ে দিয়েছি।


গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে, জঙ্গলমহলের জেলা বাঁকুড়ার ১২টি বিধানসভা আসনেই এগিয়ে বিজেপি। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের সংগঠন নিয়ে চিন্তা বাড়ছে শাসক শিবিরে।