বাসন্তী:  পঞ্চায়েত দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই গতকাল বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ এলাকায় গুলি চলে। এমনটাই অভিযোগ আক্রান্ত যুব তৃণমূল কর্মীদের। গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুব তৃণমূল কর্মীর মায়ের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় শাসকদলের ২ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যুব তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের অভিযোগ, গতকাল রাতে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য জাকির শেখের নেতৃত্বে তাঁদের ওপর হামলা হয়। গুলিবিদ্ধ হন দুই যুব তৃণমূল কর্মী হাসান সর্দার ও মঞ্জুর আলম সর্দার। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মঞ্জুরের মা মানোয়ারা সর্দারের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার লোকজনের  বিরুদ্ধে এই হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।  যদিও তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, পারিবারিক বিবাদেই এই ঘটনা ঘটেছে।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাসান সর্দার ও মঞ্জুর আলম সর্দার যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখন তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়। জানা গেছে, যেখানে হামলা হয়, সেখানে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল ৭-৮ জন দুষ্কৃতীর দল। হাসান ও মঞ্জুর আসতেই হামলা চালানো হয়। তাঁদের ওপর হামলা চালানো হতে পারে, এমন একটা আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল বলে আক্রান্তদের লোকজন দাবি করেছেন। এই আশঙ্কাতেই মঞ্জুরের মা এগিয়ে এসেছিলেন। তিনিও তৃণমূল কর্মী বলে জানা গেছে।   মানোয়ারের সামনেই তাঁর ছেলে মঞ্জুরের ওপর অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। মঞ্জুর ও হাসানকে কোপানো হয়। তারপর গুলিও ছোড়া হয়। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে মানোয়ারা সর্দার গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। হাসান ও মঞ্জুরকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। 


এদিকে, এলাকা দখল নিয়ে প্রধান ও উপ প্রধানের স্বামীর মধ্যে বিবাদকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল গোঘাটের শ্যামবাজার এলাকা। গতকাল ওই এলাকায় বোমাবাজি হয়। ধারাল অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। সংঘর্ষে আহত হন দু পক্ষের ১০-১২ জন। এদের মধ্যে ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামাতে হয় র‍্যাফ।