সমীরণ পাল, বেলঘড়িয়া: দুর্গাপুরের পর বেলঘরিয়া। ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ। বেলঘড়িয়া নন্দননগর বটতলা এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই একটি চক্রকে দেখতে পাচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিন অভিযুক্তদের ধরে বেধড়ক মারধর করে এলাকার মানুষ। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। এদিকে প্রতারণায় অভিযুক্ত ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।


এর আগে দুর্গাপুরেও ঠিক একইভাবে প্রতারণার অভিযোগ উঠে এসেছিল। সরকারি ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ‘প্রতারণা’। অন্যের নথি দিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর থেকে ঋণ নিয়ে টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠল দুর্গাপুরে। বেশ কয়েক লক্ষ টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এক সদস্যার বিরুদ্ধে। দুর্গাপুরের বিধাননগরে অভিযুক্তের বাড়িতে ঢুকে তাঁর স্বামীকে ব্যাপক ভাঙচুর, মারধর করে উত্তেজিত জনতা। ভাঙচুর করা হয় অভিযুক্তের স্বামীর বাইক। উত্তেজিত জনতার মধ্য়ে থেকে অভিযুক্তর স্বামী ও মা-কে উদ্ধার করে পুলিশ। 


এর আগে শনিবার মিথ্যে পরিচয় দিয়ে বীরভূমের নলহাটিতে রূপশ্রীর ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ৮ মহিলার বিরুদ্ধে। নলহাটি ব্লক অফিসার ওই ৮ জন মহিলার নামে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নলহাটি থানায়। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে ৮ জনই বিবাহিত এবং এদের প্রত্যেকের সন্তান আছে। তবু নিজেদের অবিবাহিত বলে দাবি করে সরকারি প্রকল্পে টাকা তুলে নেন এই এই মহিলারা। এই প্রতারণার খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিডিও হুমায়ুন চৌধুরী অভিযোগ করেন থানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


‘রূপশ্রী’ প্রকল্পে দরিদ্র পরিবারের প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলাদের বিয়ের জন্য ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। বিয়ের আগেই সেই টাকা উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যায়। কিন্তু অভিযোগ, বীরভূমের নলহাটির আট জন মহিলা আবেদন না করা সত্ত্বেও, ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের টাকা ঢুকেছে তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। 


রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে একের পর এক প্রতারণার অভিযোগ উঠে আসছে।