পূর্ব বর্ধমান: ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুরুচিকর আক্রমণ। এবার বিতর্কে রাজ্য বিজেপির সহ-সভানেত্রী রাজকুমারী কেশরী।
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করতে কুকথা যে কোনও পর্যায়ে পৌঁছতে পারে, শনিবার বর্ধমান শহরের বড়নীলপুরের সভায় দাঁড়িয়ে তার প্রমাণ দিলেন রাজকুমারী কেশরী। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদী-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনেও কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ শানান তিনি।
রাজ্য বিজেপির সহ-সভানেত্রী বলেন, দিদি মোদীজির সঙ্গে কাছে গিয়েছিলেন, আল্লা কে নাম পে দেদে বাবা, ভগবান কে নাম পে দেদে বাবা, মোদী কে নাম পে দেদে বাবা। টাকা চাই? এখানে বিজেপির লোকদের মারবে, আর ভিক্ষা চাইতে দিল্লি যাবে, এটা হতে পারে না। এখানেই থামেননি বিজেপি নেত্রী রাজকুমারী কেশরী। বলেন, মমতা বিজেপিকে মারতে বলছেন, আমার টিএমসি ভাইরা সব হিজরে।
বিজেপি নেত্রীর এই ধরনের ভাষা প্রয়োগের সমালোচনায় সরব তৃণমূল। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, যারা কুরুচিকর সাহিত্য পড়তে অভ্যস্ত, তারাই কুরুচিকর কথা বলে। মানুষ দেখছে, এরা (বিজেপি) কাকে নেতা করেছে। এ ধরণের কুরুচিকর ভাষার নিন্দায় সরব বিদ্বজ্জনরাও।
শিক্ষাবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি বলেন, পুকুরপাড়ের ভাষা, প্ররোচনামূলক আক্রমণ। নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত বলেন, কুকথায় কলুষিত রাজনীতি।
যদিও, সব সমালোচনার জবাব দিয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বলেন, ৩ বছর ধরে দিল্লি যাওয়ার সময় পাননি, এখন দৌড়চ্ছেন মোদীর কাছে। সময় খারাপ চলছে, মোদীই বাঁচাতে পারেন। টাকা-পয়সা আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে দিল্লি গিয়ে দাদার পা ধরতে হচ্ছে।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর। সম্প্রতি বিজেপির লালবাজার অভিযান নিয়েও চরমে ওঠে দু’পক্ষের সংঘাত। এই উত্তপ্ত আবহেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপি নেত্রীর কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ! যার জেরে মধ্য জ্যৈষ্ঠ আরও চড়ল রাজনৈতিক পারদ।