ঝিলম করঞ্জাই ও অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের অভাবের ফলে এখনও দ্বিতীয় ডোজ পাননি রাজ্যের প্রায় সাড়ে ৮  লক্ষ মানুষ। স্বাস্থ্য ভবন জানিয়েছে, কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন নিয়ে মোট ৮ লক্ষ ৪৩ হাজার ৮৪৭ জন দ্বিতীয় ডোজ পাননি।


এই অবস্থায় স্বাস্থ্য ভবন নির্দেশ দিয়েছে, এখন থেকে রাজ্যে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন আসবে তার ৫০% বরাদ্দ থাকবে শুধুমাত্র দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে। 


এনিয়ে পরিকল্পনা তৈরির জন্য প্রতিটি জেলার জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, কলকাতার পুর কমিশনার ও সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও সুপারদের বলা হয়েছে। 


স্বাস্থ্য ভবন জানিয়েছে,  রাজ্যে কোভিশিল্ডের মোট দ্বিতীয় ডোজ বাকি রয়েছে ৬ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬৮৫ জনের। অন্যদিকে, কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে তা ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ১৬২।


১ এপ্রিল থেকে ৭ মে পর্যন্ত যাঁরা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময় হবে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে। সব মিলিয়ে ৩১ জুলাই দ্বিতীয় ডোজ বকেয়ার সংখ্যা দাঁড়াবে ৩৭ লক্ষ ৯৩ হাজার ৬৪০ জন।


এই অবস্থায় রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানিয়েছেন, রাজ্যজুড়ে ভ্যাকসিনের ঘাটতি রয়েছে। বাগবাজার সেন্ট্রাল স্টোরে আর ৬ লক্ষ ডোজ মজুত রয়েছে। তাই দ্বিতীয় ডোজকেই গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। যতক্ষণ না পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন মিলছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ৫০% ভ্যাকসিন বরাদ্দ থাকবে দ্বিতীয় ডোজের জন্য।


রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা আরও জানিয়েছেন, বুধ ও বৃহস্পতিবার যাতে শুধুমাত্র দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়, সেজন্য কলকাতা পুরসভাকে অনুরোধ করেছে রাজ্য সরকার। 


এনিয়ে পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, স্যানিটাইজেশনের জন্য বুধবার মেগা সেন্টারগুলি বন্ধ থাকবে। এদিনই যেহেতু শিশুদের জন্য ইমিউনাইজেশন কর্মসূচি চলে, তাই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি থেকে কাউকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় না।


এদিকে, জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য ফের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে চিঠি দিচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।  স্বাস্থ্য ভবনের দাবি,  টিকাকরণের জন্য কমপক্ষে ১ থেকে ২ কোটি ভ্যাকসিন দরকার। সেখানে হাতে রয়েছে মাত্র ৬ লক্ষ ডোজ। গত এক মাস ধরে বারবার চিঠি দিয়েও, কেন্দ্র থেকে সাড়া না মেলায়, এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।