কলকাতা: জুলাই মাসেই হতে চলেছে জয়েন্ট-মেডিক্যাল। কেন্দ্রের অর্ডিন্যান্সে রাষ্ট্রপতি সই করতেই তৎপর জয়েন্ট এন্ট্রাস বোর্ড। পরীক্ষায় বসবেন ৭৫ হাজার ৮৬২ পরীক্ষার্থী। ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি পরীক্ষার জন্য নয়া প্রশ্নপত্র, জানাল বোর্ড।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যস্তরে মেডিক্যাল-জয়েন্ট বাতিল করতে হয়েছিল। কার্যত দিশাহীন অবস্থা ছিল রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের। কেন্দ্রের অর্ডিন্যান্সে রাষ্ট্রপতি সই করতেই পুরোপুরি বদলে গেল পরিস্থিতি! খবর আসা মাত্রই শুরু হয়ে গেল রাজ্য স্তরে মেডিক্যাল জয়েন্ট নেওয়ার তোড়জোড়!
পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর নিজেদের মধ্যে আলোচনা সারে স্বাস্থ্য দফতর, উচ্চশিক্ষা দফতর ও জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, জুনের শুরুতে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাউন্সেলিং হবে। তারপর জুলাইতে রাজ্যস্তরের মেডিক্যাল জয়েন্ট-এর সম্ভাবনা। তবে এই সুযোগ শুধুমাত্র চলতি শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষার্থীদের জন্যই। জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যান সজল দাশগুপ্ত বলেন,
জুলাইয়ে পরীক্ষা নেব। ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি যারা বায়োলজি যারা পরীক্ষা দেবে, তাদের জন্য নতুন প্রশ্নপত্র। এবারের মতো জয়েন্ট-জট কাটায় খুশি পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
কিন্তু সমস্যা কি পুরোপুরি কাটল? কারণ, আগামী বছর থেকে বাধ্যতামূলকভাবে যারা অভিন্ন প্রবেশিকায় বসবেন, তাঁদের তো সিবিএসই-র সিলেবাসে পরীক্ষা দিতে হবে! শিক্ষামহলের একাংশের প্রশ্ন, পরের বছর, রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণরা সর্বভারতীয় সেই লড়াইয়ে কি টক্কর দিতে পারবেন? যদিও সব আশঙ্কা অমূলক বলে দাবি করলেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাসষ তিনি বলেন, আমাদের নয়া পাঠ্যক্রম সিবিএসই-র সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই করা, সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
শিক্ষামহলের একাংশের মতে, আগামী বছরের অভিন্ন প্রবেশিকায় বাংলা ভাষায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ না থাকলে সমস্যায় পড়তে পারেন রাজ্যের পরীক্ষার্থীরা। যদিও সূত্রের খবর, আগামী বছরের অভিন্ন প্রবেশিকায় আঞ্চলিক ভাষায় উত্তর লেখার সুযোগ দেওয়া যায় কি না তা বিবেচনাস্তরে রয়েছে।
এবারের রাজ্য জয়েন্টে মোট আবেদনকারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৭৯৯। মেডিক্যাল পরীক্ষা বাতিল হয়ে যাওয়ায়, ১৭ মে ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফার্মাসি পরীক্ষায় বসেন ১ লক্ষ ৩০ হাজার জন। মেডিক্যাল জয়েন্টে বসবেন রাজ্যের ৭৫ হাজার ৮৬২ জন পরীক্ষার্থী।
জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড জানিয়েছে, মেডিক্যাল পরীক্ষায় পুরনো অ্যাডমিট কার্ডই বহাল থাকবে। কয়েকদিনের মধ্যেই বোর্ডের ওয়েবসাইটে পরীক্ষার দিন, সময় ও পরীক্ষাকেন্দ্রের নাম জানিয়ে দেওয়া হবে। পরীক্ষা নিয়ে সবিস্তার তথ্য সম্বলিত এসএমএস পৌঁছবে পরীক্ষার্থীদের মোবাইলে।