সমীরণ পাল, টিটাগড়:উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়ার পর টিটাগড়। ফের তৃণমূলের ওপর হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের অভিযোগ, গতকাল রাতে টিটাগড়ের পুরানি বাজার এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বোমা ফেটে জখম হন এক তৃণমূল কর্মীর মা ও এক পথচারী। এই ঘটনার পর উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূলের দাবি, এলাকা দখলের লড়াইয়ে মদত রয়েছে বিজেপির।গেরুয়া শিবিরের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। টিটাগড় থানায় শাসকদলের তরফে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। 


স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে টিটাগড় পুরানি বাজার এলাকায়  চার জায়গায় বোমাবাজি করে। সন্ধে বেলা কর্মীরা বসে দলীয় আলোচনা  করছিলেন। সেই সময় তাঁদের লক্ষ্য করে  বোমা ছোড়া হয়। এই ঘটনায় একজন তৃণমূল কর্মীর মা ও একজন পথচারী আহত হন। তাঁদের দুজকেই বারাকপুর বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ।এই ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। টিটাগড় থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


একদিন আগেই বেলঘরিয়ায় শ্যুটআউট, তৃণমূলের পার্টি অফিসে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। আক্রান্ত  হন ২ তৃণমূলকর্মী। গ্রেফতার করা হয়েছিল ৬ উঠেছিল।তৃণমূলের পার্টি অফিসে এই দুষ্কৃতী হামলা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়া।সিসিটিভিতেও বাইক আরোহী দুষ্কৃতীদের দাপাদাপির ছবি পরিষ্কার ধরা পড়ে।শনিবার রাত সাড়ে ন’টা। বেলঘরিয়ার দেশপ্রিয় নগরে তৃণমূলের পার্টি অফিসে হঠাত্‍ই চড়াও হয় ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দুষ্কৃতী দল।অভিযোগ, ২ তৃণমূল কর্মীকে পার্টি অফিস থেকে টেনে বের করে এনে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধর করা হয়।অভিযোগ, হামলার পর পালানোর সময় দুষ্কৃতীরা গুলিও চালায়। এরপর, বাইক নিয়ে নীলগঞ্জ রোডের দিকে পালিয়ে যায় তাঁরা। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেইসময়ের ছবি।শনিবার রাতেই ঘটনাস্থলে আসেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র।সন্ধেয় বেলঘরিয়ার বিভার মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন মদন মিত্র।হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আটক করা হয়েছে একটি বাইক।