নয়াদিল্লি: ভোজনরসিক বাঙালিদের জন্য সুখবর।


শীঘ্রই দেশের প্রথম মাছ হিসেবে আইনি সুরক্ষার আওতায় আসতে চলেছে বাঙালির অতি প্রিয় ইলিশ। সূত্রের খবর, এই মর্মে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করার কথা ভাবছে পশ্চিমবঙ্গ মৎস্য দফতর। যেখানে, ৫০০ গ্রামের কম ওজনের ইলিশের বেচা-কেনা বেআইনি করা হবে।


‘মাছের রাজা’ বলে পরিচিত ইলিশ। প্রাকৃতিকভাবে প্রাপ্ত একটি পূর্ণবয়স্ক ইলিশের ওজন প্রায় আড়াই কেজি পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু, এই সাইজের ইলিশের মেলা এখন প্রায় দুষ্কর হয়ে পড়েছে। কারণ, চাহিদার জেরে মাছ বড় হওয়ার আগেই তা জালে ধরা হচ্ছে। এই ধরনের ছোট ইলিশ (বাজার চলতি নাম খোকা ইলিশ) ধরার জন্য ছোট ছিদ্রের জাল ব্যবহার করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।


ফলে, এই রূপালি মাছের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এই ভাবে অবৈধ ইলিশ চাষ চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে ইলিশের প্রজণন প্রায় অবলুপ্তির পথে চলে যাবে। আর ভোজনরসিক বাঙালিও ইলিশের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হবে।


এমনিতে, আগে থেকেই, খোকা ইলিশ চাষ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও চোরাগোপ্তা উপায়ে খোকা ইলিশ ধরা হচ্ছে এবং নজরদারির অভাবে অবাধে বিভিন্ন বাজারে তার কেনাবেচা চলছে। কারণ, এই সংক্রান্ত কোনও আইন নেই রাজ্যের। ফলে, কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা যায় না।


তাই এবার অবৈধ খোকা ছোট ইলিশ কেনাবেচাকে অবৈধ করতে নতুন আইন আনার ভাবনাচিন্তা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। যার আওতায়, যদি ৫০০ গ্রামের কম ওজনের ইলিশের কেনাবেচা করতে কেউ ধরা পড়ে, তাহলে তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং অপরাধ আইনের বিভিন্ন ধারা লাগু করা হবে।


দফতরের সাম্প্রতিক বৈঠকে এই মর্মে একটা প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। এক কর্তা জানান, শীঘ্রই রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে দ্বারস্থ হয়ে দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা কীভাবে লাগু করা যায়, সেই নিয়ে আলোচনা হবে।


ওই কর্তা জানান, একবার আইন কার্যকর হলে, ছোট ইলিশ শিকার অনেকটাই কমে যাবে বলে ধারণা। ফলে, ভোজনরসিক বাঙালিরা এবার সুস্বাদু বড় ইলিশের স্বাদই পাবেন।