ব্যারাকপুর স্টেশনের কাছে এসএন ব্যানার্জি রোডে সুকান্ত সদনের পাশেই পথের পাঁচালির স্রষ্টার বাড়ি আরণ্যক। বিভূতিভূষণ এখানে আসেননি কিন্তু এখানে রয়েছে পথের পাঁচালির পাণ্ডুলিপি, তাঁর ব্যবহার করা পোশাক, কলম, হুঁকো ইত্যাদি। কিন্তু সে সবই এই মুহূর্তে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। আরণ্যকের ঠিক গা ঘেঁষে গড়ে উঠছে পুরসভার মার্কেট কমপ্লেক্স। আর এ জন্য ভেঙে পড়েছে বিভূতিভূষণের বাড়ির পাঁচিলের একাংশ, সঙ্কটে নিকাশী ব্যবস্থা। একটু বৃষ্টি হলেই বাড়িতে জল ঢুকে যাচ্ছে, মাঝে মাঝেই কেঁপে উঠছে বাড়িটি। প্রয়াত সাহিত্যিকের নিরুপায় পুত্রবধূ মিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এ ব্যাপারে সব কিছু জানান। তিনি লেখেন, বারবার পুরসভাকে তাঁরা এ ব্যাপারে জানিয়েছেন, কিন্তু তারা নির্বিকার।
দেখুন তাঁর পোস্ট
বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই শুরু হতে গতকাল ব্যারাকপুর পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য ও তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া শীলভদ্র দত্তের অনুগামী শুভ্রকান্তি গঙ্গোপাধ্যায় বাড়িটি পরিদর্শনে আসেন। তখন পুরসভার মুখ্য প্রশাসক উত্তম দাসের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। শুভ্রকান্তি বলেন, উত্তম দাস কোনও কিছু দেখেন না, এত বড় একটা জিনিস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, অথচ তিনি কোনও গুরুত্ব দিচ্ছেন না, মার্কেট কমপ্লেক্সই তাঁর কাছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর অভিযোগ, উত্তমবাবু তাঁদের কোনও কিছু জানান না, একা সিদ্ধান্ত নেন। যদিও উত্তম দাস এই অভিযোগে পাত্তা দিতে নারাজ। তাঁর দাবি, শুভ্রকান্তি বেসুরো হওয়ার জন্য এ সব বলছেন, মার্কেট কমপ্লেক্সের জন্য বিভূতিভূষণের বাড়ির কোনও ক্ষতি হয়নি, তাঁরা বহুবার গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।