কলকাতা: বার্ড ফ্লু নিয়ে কলকাতা-সহ সব জেলাকে সতর্ক করল স্বাস্থ্য দফতর। কীভাবে সতর্ক থাকতে হবে, তা নিয়ে অ্যাডভাইসরি জারি করা হয়েছে। কোনও জায়গায় একসঙ্গে অনেক পাখি বা পোলট্রির মুরগির মৃত্যু হলে, তা জানাতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের অ্যাডভাইসরিতে।
করোনা আবহে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে বার্ড-ফ্লু। এই পরিস্থিতিতে বার্ড ফ্লু নিয়ে কলকাতা-সহ সব জেলাকে সতর্ক করল স্বাস্থ্য দফতর। অ্যাডভাইসরিতে সব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বলা হয়েছে-
১. যারা পোলট্রিজাত জিনিস নিয়ে কাজ করেন, তাঁরা যেন কাজ করার সময় গ্লাভস, ফেস শিল্ডও পিপিই পরে কাজ করেন।
২. কাজ শেষে এই সব সামগ্রী ফেলে দিতে হবে বা জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৩. কাজ করার সময় খাওয়া যাবে না।
৪. কাজ শেষে সাবান দিয়ে ভাল করে হাত ধুতে হবে।
৫. কোনও জায়গায় একসঙ্গে অনেক পাখি বা পোলট্রির মুরগি মারা গেলে অবিলম্বে তা জানাতে হবে প্রাণী সম্পদ এবং স্বাস্থ্য দফতরকে।
৬. সংক্রমিত এলাকায় গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধক ওষুধ খেতে হবে।
৭. সাধারণ পাখি ও পরিযায়ী পাখি উভয়ই সংক্রমিত হতে পারে। তাই পাখিদের উপর নিয়মিত নজরদারি রাখতে হবে।
৮. ইতিমধ্যেই দশ রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে বার্ড-ফ্লু বা অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা।
স্বাস্থ্য দফতর এই অ্যাডভাইসারি জারি করার পরই, সতর্ক আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। চিড়িয়াখানার অধিকর্তা জানিয়েছেন, পাখিদের উপর নজরদারি করা হচ্ছে। নিয়মিত পরীক্ষা করা হচ্ছে পাখিদের বর্জ্য। আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশিস সামন্ত বলেন, পাখিদের উপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। খাঁচার জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। পুকুরেও স্প্রে করা হচ্ছে।
দেশের একাধিক রাজ্যে ইতিমধ্যে বার্ড ফ্লুয়ের হদিশ মিলেছে। যাবতীয় দিল্লি, মুম্বই ছাড়াও রয়েছে হিমালয় প্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, কেরল। ইতিমধ্যে ৪ লক্ষ পাখির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে হরিয়ানা সরকার। ভাইরাস মানবদেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। পশুপালন দফতরকে ইতিমধ্যে সমন জারি করেছে কৃষি সংক্রান্ত সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বার্ড ফ্লুর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনকে নজর রাখতে হবে। গুজব ছড়াবেন না।