গোপাল চট্টোপাধ্যায়, রামপুরহাট: করোনা ভ্যাকসিনের ডবল ডোজ নেওয়ার পর কেটে গেছে বেশ কিছুদিন। মল্লারপুরের সোজ গ্রামের ২০ জন বাসিন্দা এখনও কোনও এসএমএস অথবা সার্টিফিকেট পাননি বলে অভিযোগ। তাঁদের দাবি, এপ্রিলে প্রথম ও ১৩ জুলাই দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরেও কিছুই মেলেনি। ফলে চিকিত্সা অথবা অন্য প্রয়োজনে ভিনরাজ্যে যেতে হলে তাঁরা সমস্যায় পড়বেন বলে আশঙ্কা। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে সমস্যা, দ্রুত সমাধান করা হবে, আশ্বাস রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের।


রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার অন্তর্গত মল্লারপুর সোজ উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র। সেখানেই করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন সোজ গ্রামের ২০  জন মানুষ। তাঁদের দাবি, প্রথম ডোজ  নিয়েছিলেন এপ্রিলে এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন জুলাই মাসে ১৩  তারিখে। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরেও তাঁদের কোন এসএমএস আসেনি বলে অভিযোগ। ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের দাবি, “আমরা সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছি। দুটি ডোজ আমাদের নেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রথম কিংবা দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরেও কোনও এসএমএস আসেনি।“ সার্টিফিকেট না পাওয়ার ফলে বাইরে যেতে সমস্যা হতে পারে বলে জানাচ্ছেন ভ্যাকসিন গ্রহীতারা।  গোটা ঘটনা ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে।  তিনি জানিয়েছেন প্রযুক্তিগত কোনও ত্রুটির কারণে হয়ত এসএমএস পাননি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।


গতকালই দেশে ফের বেড়েছে দৈনিক মৃত্যু ও সংক্রমণের সংখ্যা। একইসঙ্গে রাজ্যেও বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই করোনার তৃতীয় ঢেউ অনিবার্য বলে সতর্ক করা হয়েছে। চোখ রাঙাচ্ছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টও। এই অবস্থায় ভ্যাকসিনেশনের ওপর বারবার করে জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বলা তো হচ্ছে কিন্তু, পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্যাকসিন মিলছে কোথায়? জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে বাঁকুড়া ভ্যাকসিন না পেয়ে বুধবারও জেলায় জেলায় দেখা গেছে দুর্ভোগের ছবি। মানুষের লম্বা লাইন। অনেক ক্ষেত্রেই উধাও শিকেয় বিধি। আর এই আবহে এবার ভ্যাকসিন পেয়েও দুর্ভোগের অভিযোগ বীরভূমে।