পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: ভোটের আগে বাঁকুড়ায় চপ-মুড়ির দোকান বিজেপি-র। মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসংস্থানের দাবিকে কটাক্ষ করার পাশাপাশি, রাজ্যের শিল্প সম্ভাবনা নিয়েও সংশয় প্রকাশ গেরুয়া শিবিরের। ভোটের আগে চমক দেওয়ার চেষ্টা, পাল্টা দাবি তৃণমূলের।


বুধবার সকালে বাঁকুড়া শহরে সার্কিট হাউসের সামনে দাঁড়িয়ে চপ ভাজতে দেখা গেল বিজেপি নেতাকে। বড় বড় করে লেখা দোকানের নাম। টুকরো কাগজে দোকান মালিকের নাম লেখা নীলাদ্রিশেখর দানা। তিনি আসলে জেলা বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক। দোকানে দাঁড়িয়ে তিনিই চপ ভাজছেন। মাত্র ১০ টাকায় মুড়ির সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে একজোড়া চপ।

শীতের সকালে চপ-মুড়ি কিনতে ভিড় করেন অনেকেই। বিজেপি নেতার এই উদ্যোগে সামিল দলীয় কর্মীরাও। তাঁদের বুকে সাঁটা কাগজে লেখা, কেন এই চপ বিক্রির উদ্যোগ।

মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসংস্থানের দাবি ও রাজ্যের শিল্প সম্ভাবনাকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বাঁকুড়ার বিজেপি সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী চপ শিল্পের কথা বলছেন। এখানে তো শিল্প নেই, তাই চপ-মুড়ির দোকান দিয়েছি, বিক্রি করছি।’

পাল্টা বিজেপিকে বিঁধেছে তৃণমূল। বাঁকুড়ার তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার মানুষ চপ-মুড়িই খায়। তাঁদের হেয় করা হচ্ছে। এটা ভোটের রাজনীতি।’

২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ার ১২টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৭টিতে জয়ী হয় তৃণমূল। বাম-কংগ্রেস জোটের দখলে যায় ৫টি আসন। কিন্তু ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে ছবিটা বদলে যায়। বাঁকুড়ার দু’টি লোকসভা আসনই তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। লোকসভা ভোটের নিরিখে জেলার ১২টি বিধানসভা কেন্দ্রের সবকটিতেই এগিয়ে গেরুয়া শিবির। এই প্রেক্ষাপটে বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর তত বাড়ছে।

এদিকে, আজই কলকাতায় এসে পৌঁছন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। হেস্টিংসে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করতে আসেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি। নাড্ডা পৌঁছনো মাত্র তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। এরপর শুরু হয় বিক্ষোভ। হেস্টিংসে নাড্ডাকে কালো পতাকা দেখানো হয়। নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়।

দুপুরে ভবানীপুরে গৃহ সম্পর্ক অভিযানে গিয়ে ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচির লিফলেট বিলি করেন বিজেপি সভাপতি। বিকেলে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দেন তিনি। এরপর আইসিসিআর-এ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দেন তিনি।

বাইরে থেকে লোক এনে অশান্তি করে ভোটে জেতার চেষ্টা করছে বিজেপি। বনগাঁর সভা থেকে ফের আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি-র শুরুই বাংলা থেকেই। কলকাতায় এসে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের অবদান উল্লেখ করে মন্তব্য নাড্ডার।