দীপক ঘোষ, কলকাতা:  ২১ মার্চ বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করা হবে। বিজেপি সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে হবে ইস্তেহার প্রকাশ। সল্টলেকের ইজেডসিসি থেকে হবে ইস্তেহার প্রকাশ। 


ভোট ঘোষণার আগেই সুভাষ সরকারের নেতৃত্বে তৈরি হয় কমিটি। ইস্তেহার নিয়ে নেওয়া হয়েছে মানুষের মতামত। বিজেপি সূত্রে খবর, ইস্তেহারে কিছু মতামত যুক্ত করা হয়েছে। 


ইস্তেহারে উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলকে আলাদা গুরুত্ব, বিজেপি সূত্রে খবর।


চলতি সপ্তাহে নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, তৃণমূল ক্ষমতায় ফিরলে বাড়ানো হবে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের ভাতা। বলেন, কৃষকবন্ধু প্রকল্পে বাড়ছে আর্থিক সাহায্য। এখন ১ কাঠা থেকে ১ একর পর্যন্ত জমিতে কৃষকরা বার্ষিক ১০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান পাবেন।


ভোটের আগে তৃণমূল সরকারের দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। সেকথা মাথায় রেখে, তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তেহারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তারা ক্ষমতায় ফিরলে বছরে চারমাস করে এই কর্মসূচি চালানো হবে। 


মমতা বলেন, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, দুয়ারের সরকার প্রকল্প চলবে। বছরে ৪ বার করে দুয়ারে সরকার হবে। অগাস্ট সেপ্টেম্বর এবং নভেম্বর ডিসেম্বরে দুয়ারে সরকার হবে। 


পাশাপাশি স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড,  বিধবা ভাতা সংক্রান্ত একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি জায়গা পেয়েছে এই ইস্তেহারে। বলেন, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড আনা হবে। ১০ লাখ ক্রেডিট লিমিট, ৪ শতাংশ সুদে। মে মাস থেকে বিধবা ভাতা বেড়ে মাসিক ১ হাজার টাকা হবে। বছরে ৫ লাখ কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা। ১০ বছরে ১১০ শতাংশ কাজ করেছি।


বিজেপি অবশ্য শাসক দলের ইস্তেহারকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। উল্টে তৃণমূলের ইস্তেহারকে কটাক্ষ করে গেরুয়া শিবির। দলের মুখপাত্র বলেন, ২০১২ সালে বলেছিলেন ৯০ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে। এতদিন তাহলে কী হল। পুঁজিপতিরা বাংলা ছেড়ে গেছে। শিল্প আসেনি।