আবীর দত্ত, কলকাতা: নিমতিতা বিস্ফোরণে এবার সুতির তৃণমূল প্রার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করল এনআইএ। বৃহস্পতিবার কলকাতায় এনআইএ-র দফতরে ইমানি বিশ্বাসকে প্রায় চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসবাদ করেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনে গুরুতর জখম হন রাজ্যের মন্ত্রী তথা জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন। এখনও হাসপাতালে ভর্তি জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী। বিস্ফোরণের ঘটনায় সুতির তৃণমূল প্রার্থীকে তলব এবং জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনায় বাড়ছে জল্পনা।
গত ৩ মার্চ, নিমতিতা বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে নামে এনআইএ। নিমতিতা স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা।
১৭ ফ্রেব্রুয়ারি মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তাতে আহত হন রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ২ জনকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য সিআইডি।
ধৃতদের নাম, মুর্শিদাবাদের সুতি থানা এলাকার বাসিন্দা আবু সামাদ ও সহিদুল ইসলাম ওরফে কেমিক্যাল সহিদুল। এরমধ্যে কেমিক্যাল সহিদুল বোমা তৈরিতে বিশেষভাবে দক্ষ বলে সিআইডি-র দাবি।
২ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৬ ধারায় গুরুতর আঘাত, ৩০৭ ধারায় খুনের চেষ্টা, ১২০বি ধারায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু হয়।
১৭ ফেব্রুয়ারির রাতে মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মুখেই আক্রান্ত হন শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন-সহ ২২ জন।
বোমা বিস্ফোরণে জাকিরের হাতের আঙুল এবং বাঁ পা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিস্ফোরণকাণ্ডে পরিকল্পনামাফিক জাকিরকে খুন করার চেষ্টা করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ ওঠে।
কারা এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, বিস্ফোরণে কী ধরনের মশলা ব্যবহার করা হয়, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করে সিআইডি এবং স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা বিশেষ তদন্তকারী দল।
সেই মামলাতেই প্রথম সাফল্য পেলেন রাজ্যের গোয়েন্দারা। সিআইডি সূত্রে খবর, ধৃতদের সঙ্গে জঙ্গিযোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।