অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি তুলে আগেই বিতর্কে জড়িয়েছেন। এবার নিজের বাড়ি নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়লেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। জবাব দিতে গিয়ে পাল্টা সাফাইও দিলেন তিনি।
রেলের রাস্তা পরিদর্শনে যানতে জন বার্লা। সেখানেই নিজের বাড়ি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। আইএনটিটিইউসি নেতা দেবেশ কুণ্ডু প্রশ্ন করেন, ‘আপনার তিনতলা বাড়ি, চামুর্চি রোডে, কীসের জন্য?’ জবাবে বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘আমার লোকজন যে হেনস্থা হচ্ছে, ওদের রাখব কোথায়?’
জলপাইগুড়ির চামুর্চি রোডে তিন তলা বাড়ি রয়েছে জন বার্লার। দিন কয়েক আগে এই বাড়িতে দাঁড়িয়েই দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য দাবি করার যুক্তি শুনিয়েছিলেন এই বিজেপি সাংসদ।
একই দিনে জন বার্লার এই বাড়ি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সদ্য তৃণমূলে যোগদানকারী বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। দীর্ঘদিন অভিযোগ পাওয়ার পর নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশন লাগোয়া রেলের বেহাল রাস্তা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন জন বার্লা। সেখানেই তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র নেতা বিজেপি সাংসদকে তাঁর বাড়ি নিয়ে প্রশ্ন করেন।
কয়েকদিন আগেই দার্জিলিং রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জন বার্লা। আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, জেলা পরিষদ সদস্য সহ ১০ জনকে সঙ্গে নিয়ে যান তিনি। সাংসদ পৃথক রাজ্যের দাবি তোলার পরই রাজ্যপালের সঙ্গে এই সাক্ষাৎ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
যদিও সাংসদের দাবি, তৃণমূলের অত্যাচারে আলিপুরদুয়ারের ঘরছাড়া বিজেপির নেতা-নেত্রীরা তাঁর কাছে আশ্রয় নিয়েছেন। সেই ঘটনা তুলে ধরতেই রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ। তবে কি দল সতর্ক করার পর সুর নরম করলেন সাংসদ? এ প্রসঙ্গে বার্লা জানান, এই নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। বৈঠক শেষে একটি ভিডিও ট্যুইট করেন রাজ্যপাল।
জন বার্লা পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হলেও, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁর পাশে দাঁড়াননি। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের দল পৃথক রাজ্যের দাবিকে সমর্থন করছে না।