কলকাতা: বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার পূর্ব বর্ধমান সফরের পরের দিনই সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করলেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি রাজ্য সভাপতি বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন।

এদিন দিলীপ বলেন, ‘কৃষক স্বার্থেই নতুন কৃষি আইন। কৃষক স্বার্থে গ্রামে গিয়ে সভা। কৃষকদের অধিকার সুরক্ষায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার। ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ৪০০০০ গ্রামসভায় অংশ নেবেন বিজেপি কর্মীরা। সঠিক সময় ফসল বিক্রি করতে পারেন না কৃষকরা। তৃণমূল আমলে ফসলের দাম পান না কৃষকরা। কৃষক সম্মান নিধি থেকে বঞ্চিত বাংলার কৃষকরা। কৃষকদের সঙ্গে অসহযোগিতা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন বিপাকে পড়ে এবার সহযোগিতার কথা বলছেন মমতা। কৃষক বিরোধী বিল হলে বাংলায় আন্দোলন হত। ফড়েদের সঙ্গে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কৃষকদের ধোঁকা দিয়েছেন মমতা, এখন নাটক করছেন।’

দিলীপ আরও বলেছেন, ‘বাংলায় এখন ইট-পাটকেলের রাজনীতি। বাংলার মানুষ এ ধরনের রাজনীতি চান না। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগে নিজের আসন বাঁচান মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলে অন্তর্ঘাত শুরু হয়ে গেছে। বর্ধমানে তৃণমূলের মিছিলে লোকই হয়নি। আমার চা-চক্রে এর থেকে বেশি লোক হয়।’

গতকাল বর্ধমানে নাড্ডার শক্তি প্রদর্শনের পর আজ পাল্টা মিছিল তৃণমূলের। টাউন হল থেকে গোলাপ বাগ পর্যন্ত রোড শো রাজ্যের শাসকদলের। কর্মসূচিতে অভিনেতা তথা যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি সোহম চক্রবর্তী। তিনি বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, ‘বাংলার মানুষ তৃণমূলকেই চান। মোদি সরকারের কৃষি আইন কৃষক বিরোধী। মমতার সরকার মানুষের জন্য। মমতার সরকার কৃষকের জন্য, শ্রমিকের জন্য। বাংলার সংস্কৃতি যাঁরা জানেন না, তাঁরা বহিরাগত। কার্জন গেট থেকে বিজেপির গাড্ডা খুঁড়ে দিয়েছি।’

অন্যদিকে, পুরুলিয়ায় শুভেন্দু অধিকারীর সভায় তৃণমূলের পতাকা লাগানো গাড়ি ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূলকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, ‘পুলিশের অনুমতি নিয়ে সভা করতে এসেছি। কিন্তু, স্থানীয় কোনও পুলিশকে দেখা গেল না। এত সভা দেখে তৃণমূল দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বিজেপি কর্মীরা কেউ প্ররোচনায় পা দেননি। তৃণমূল এখন দল নেই, কোম্পানি হয়েছে। পোলিং এজেন্ট দেওয়ার লোক পাবে না তৃণমূল। তৃণমূল এখন বিনয় মিশ্রের মতো তোলাবাজে ভরে গেছে।’

তৃণমূলকে আক্রমণ করে শুভেন্দু আরও বলেছেন, ‘ব্যালটের বান্ডিল বদলে জোড়াফুল করত। আমি তৃণমূলে ছিলাম, জানি কীভাবে সব হত। জেলা থেকে তোলার টাকা পৌঁছত কলকাতায় আর তোলাবাজ ভাইপোর দল চাকরি দিয়েছে। কয়েকদিন পর মিথ্যাশ্রী, কুত্‍সাশ্রী করতে আসবেন একজন। কৃষক নিধি সম্মান থেকে কেন বঞ্চিত বাংলার চাষিরা? বিজেপি এলে আয়ুষ্মান ভারত চালু হবে বাংলায়। বিজেপি জিতবেই বাংলায়।’