এবারের ভোটে, পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর সদর, আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট এবং মালদার বৈষ্ণবনগর আসন দখল করেছে বিজেপি। একা লড়ে প্রথমবার তিনটি আসন! ঝুলিতে দশ শতাংশ ভোট। শতাংশের নিরিখে সামান্য হলেও, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্য, যেখানে বিজেপির শক্তি অত্যন্ত ক্ষীণ, সেখানে ভোট শতাংশ ২০১১-র তুলনায় আড়াই গুণ বাড়ানোকেই, আগামী দিনের ভিত হিসাবে দেখতে চাইছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। কলকাতায় এসে নেতাদের চাঙ্গা করতে একাধিক ভিন রাজ্যে খাদ থেকে ক্ষমতায় পৌঁছনোর নানা মডেল খাড়া করলেন অমিত শাহ।
২০২১ সালে বাংলা-বিজয়ের ‘মডেল’ হিসেবে, দলীয় কর্মীদের সামনে গুজরাত, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যের নির্বাচনী ফলকে খাড়া করেছেন অমিত শাহ।ক্ষমতায় আসার আগে, গুজরাতে বিজেপির ৭ শতাংশ ভোট ছিল। কর্নাটকে ৮ শতাংশ ভোট ছিল। মহারাষ্ট্রে ছিল ৫ শতাংশ। সেই তুলনায় অনেক বেশি পশ্চিমবঙ্গে।এবার বিজেপি ১০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। ২০১১ সালে বিজেপির এ রাজ্যে ভোট ছিল ৪ শতাংশ। ভোট আড়াই গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। এই তথ্য তুলে ধরে অমিত শাহর দাবি, রাজ্যে পরবর্তী সরকার বিজেপিই করবে।
বিধানসভা ভোটে বিজেপির উথ্বান অনেককেই চমকে দিয়েছে। কিন্তু, পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছে, মহারাষ্ট্র কিংবা গুজরাতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং প্রেক্ষাপটের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের ফারাক বিস্তর! তাই মোদী-অমিত শাহরা উন্নয়ন ও মেরুকরণের মিশেলে যে মডেলের হাত ধরে উত্তরে ও পশ্চিমে একের পর এক জয়ধ্বজা উড়িয়েছেন, কিংবা সম্প্রতি অসমের পরিস্থিতিকেও সুন্দরভাবে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন, সেই মডেল বাংলায় কতটা সাফল্যের মুখ দেখবে, তা নিয়ে সন্দিহান রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।