পূর্ব মেদিনীপুর: মন্দারমণিতে নিখোঁজ আরও দুই যুবকের দেহ উদ্ধার। আজ ভোরে মন্দারমণির সমুদ্রতটে লোকেশ মেহরোত্রর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। পরে বাড়ির লোকেদের দিয়ে দেহটি সনাক্ত করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরই কাঁথির শৌলার সমুদ্রতটে এক যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধারের পর জানতে পারে, দেহটি বিনয় চৌধুরীর।

শনিবার দুপুর দু’টো নাগাদ কলকাতা থেকে ১১ জনের একটি দল মন্দারমণি পৌঁছয়। এক শিশুর পাশাপাশি এই দলে ৫ পুরুষ ও ৫ মহিলা ছিলেন। পর্যটকরা সমুদ্রের ধারের একটি হোটেলে ওঠেন। তিনটে নাগাদ সমুদ্রে স্নান করতে যান তাঁরা।
পুলিশ সূত্রে দাবি, এই পর্যটক দলের অনেকেই মত্ত ছিলেন। তাঁরা বারবার সমুদ্রের দিকে এগোনোর চেষ্টা করছিলেন। নুলিয়া এবং সিভিক ভলান্টিয়াররা বারণ করলেও শুনতে চাননি। পরে, সবার নজর এড়িয়ে অন্য দিক দিয়ে সমুদ্রে নেমে পড়েন সবাই এবং বেশ খানিকটা এগিয়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, হঠাৎই একটি বড় ঢেউ আসায় তিন যুবক তলিয়ে যান। বাকিটা চিৎকার করতে শুরু করেন! কিন্তু, ততক্ষণে যা ঘটার ঘটে গিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। যায় বিপর্যয় মোকাবিলা দলও। শুরু হয় তল্লাশি।


উদ্ধার হয় নিউটাউনের বাসিন্দা সুমন্ত্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেহ। রবিবার ভোরে মন্দারমণির সমুদ্রতটে, সল্টলেকের বাসিন্দা লোকেশ মেহরোত্রর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
এর কিছুক্ষণ পরই কাঁথির শৌলার সমুদ্রতটে এক যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধারের পর জানতে পারে, দেহটি তেঘরিয়ার বিনয় চৌধুরীর। তিনজনই তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্মী।
স্থানীয়য়ের দাবি, মন্দারমণির সমুদ্রতট সমতল হলেও, জলের নীচের মাটি ঢালু। ওই ঢালু জায়গায় যখন তিন যুবক দাঁড়িয়ে ছিলেন, তখনই ঢেউ এসে যায়। পুলিশের অনুমান, মত্ত অবস্থায় থাকায় ভারসাম্য রাখতে না পেরে তলিয়ে যান তাঁরা।
এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের আরও কড়া অবস্থান নেওয়া উচিত বলে মত পর্যটকদের একাংশের।
হাতছানি দিয়েছিল মন্দারমণির সমুদ্র। উইকএন্ডে ছুটে গিয়েছিলেন সমুদ্রের কাছে। কিন্তু সেখান থেকে আর ফেরা হল না কলকাতার এই তিন যুবকের।