গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বোলপুর: বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এক রোগীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার সহবাসের অভিযোগ উঠল। ওই রোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বোলপুর কোর্টে তোলা হয় শনিবার।
শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ জানান হয়। অভিযোগকারিনী জানিয়েছেন তার কিছু সমস্যার জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ সিদ্ধার্থ দাস নামের এক চিকিৎসকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এরপর থেকেই তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার সহবাস করেছেন ওই চিকিৎসক এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি।
এরপর দীর্ঘদিন ধরে সহবাসের পর অভিযোগকারী মহিলা চিকিৎসককে বিয়ের কথা বলতেই বেঁকে বসেন ডাক্তার সিদ্ধার্থ দাস, এমনটাই বলা হয়েছে। মহিলার কথায়, বহু বার আবেদন করা সত্ত্বেও বিয়ে করতে রাজি হয়নি। অগত্যা তিনি শান্তিনিকেতন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ চিকিৎসক সিদ্ধার্থ দাসকে গ্রেফতার করে।
শনিবার বোলপুর মহকুমা আদালতে তাকে আজকে তোলা হয়েছে। ৫ দিনের পুলিশি হেফাজত চাইলেও আদালত দু'দিনের পুলিশি হেফাজত দিয়েছে। যদিও অভিযোগকারীর মহিলা সাংবাদিকদের সামনে এই বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি। তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন তার ক্লায়েন্টের সঙ্গে ওই চিকিৎসক শারীরিক নিগ্রহ ও সহবাস করেছেন। চিকিৎসককে যাতে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হয় তা আদালতের কাছে আবেদন থাকবে বলেই জানান।
এদিকে, কিছুদিন আগেই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক নার্সিং ছাত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সহবাসের পর বিয়ে করতে অস্বীকার করার অভিযোগে এক পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করেছিল গোপালনগর থানার পুলিশ।
অভিযোগকারিণী জানান, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে উত্তম তাঁর সঙ্গে একাধিকবার সহবাস করেন। বর্তমানে তিনি অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তিনি উত্তমকে বিয়ের প্রস্তাব দিতেই বেঁকে বসেন ওই পুলিশকর্মী। রীতিমতো সম্পর্কও অস্বীকার করেন তিনি, এমনটাই অভিযোগ। অগত্যা উপায় না পেয়ে গত ২২ মার্চ উত্তমের বিরুদ্ধে গোপালনগর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবতী।