বর্ধমান:  কাটোয়ার ক্লাবে শক্তিশালী বিস্ফোরণ। উড়ে গেল কংক্রিটের ছাদ। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল গোটা ক্লাব ঘর। মৃত্যু পথচলতি বৃদ্ধের। ক্লাবের পাশ থেকে ৩২টি শক্তিশালী সকেট বোমা উদ্ধার করল সিআইডি। সূত্রের খবর, বিস্ফোরণ সম্পর্কে সবিস্তার তথ্য তলব করেছে এনআইএ।
সোমবার ভোর তখন সাড়ে পাঁচটা। বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজে কেঁপে ওঠে শ্রীবাটি গ্রাম। আতঙ্ক ছড়ায় গোটা এলাকায়। জানা যায়, পূর্বপাড়ার একটি ক্লাবঘরে বিস্ফোরণ হয়েছে।
সেই সময় ক্লাবের পাশের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা লালু শেখ। ক্লাবের একটি দেওয়াল তাঁর মাথায় এসে পড়ে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় ৭০ বছরের ওই বৃদ্ধের। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে তড়িঘড়ি গ্রামে পৌঁছন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং এসডিপিও।
ক্লাব থেকে প্রচুর বোমা তৈরির মশলা উদ্ধার হওয়ায়, পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মজুত করা দেশি বোমা থেকেই ক্লাবে বিস্ফোরণ হয়। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ বিস্ফোরণস্থলে সিআইডির বম্ব স্কোয়াড। জানা যায়, ক্লাবের পাশে যে ৩২টি বোমা পাওয়া গিয়েছিল, সেগুলি শক্তিশালী সকেট বোমা! কলের পাইপে বারুদ ভরে বোমাগুলি তৈরি করা হয়েছিল!
এডিজি আইনশৃঙ্খলা অনুজ শর্মা অবশ্য জানিয়েছেন, নিহত বৃদ্ধের স্ত্রী ছাবিলা বিবির দাবি, ৩ সিপিএম সমর্থক-সহ কয়েকজন ক্লাবে দেশি বোমা মজুত করেছিল। এই মর্মে নাম করে তিনি অভিযোগও দায়ের করেছেন। ঘটনায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে। সিআইডিকে বলা হয়েছে, গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, দেশি বোমা ফেটে এত বড় ক্ষয়ক্ষতি হওয়া কি সম্ভব! কারণ বিস্ফোরণে মাটিতে মিশে পাকা ক্লাব ঘরটি! তাহলে কি ক্লাবের মধ্যেও মজুত ছিল শক্তিশালী সকেট বোমা? ক্লাবেই কি সেগুলি তৈরি করা হত?
পুলিশ সূত্রে খবর, কাটোয়ার এই বিস্ফোরণ সম্পর্কে জেলা পুলিশের কাছ থেকে সবিস্তার তথ্য তলব করেছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ।