কলকাতা: করোনা আবহে ১৫ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে বহাল রয়েছে বিধিনিষেধ। এর মধ্যে দেড়মাস বন্ধ থাকার পর আজ থেকে ফের রাস্তায় নেমেছে বাস। রাস্তায় সরকারি বাস দেখা গেলেও অমিল বেসরকারি বাস।
পরিষেবা চালু হলেও মৌলালির মোড়, টালিগঞ্জে সেভাবে দেখা নেই বাসের। হাতে গোনা সরকারি বাসের দেখা মিলেছে। একেবারেই দেখা নেই বেসরকারি বাসের। এদিন বিমানবন্দরের কাছে বাসের জন্য লম্বা লাইন দেখা যায়। সরকারি-বেসরকারি বাসের সংখ্যা অপ্রতুল। অনেক ক্ষেত্রেই বাসে মানা হচ্ছে না কোভিড বিধি। বাসের সংখ্যা কম হওয়ায় ক্ষুব্ধ যাত্রীরা।
ধর্মতলা থেকে সামান্য কিছু পরিমাণে ছেড়েছে দুরপাল্লার বাস। যে পরিমাণ বাসের দেখা মিলেছে তার ৯০ শতাংশই সরকারি বাস। রুবি মোড়ে বাসের লাইনে উধাও দূরত্ব বিধি। বাসেও মানা হচ্ছে না কোভিড নিষেধাজ্ঞা। বাসের সংখ্যা কম হওয়ায় শ্যামবাজারে যাত্রী ভোগান্তির ছবি। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও মিলছে না বাস, অভিযোগ যাত্রীদের।
একই অবস্থা জেলাতেও। মালদার চাঁচল থেকে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ৪টি রুটে চালু হল বাস। এর রুটগুলির মধ্যে রয়েছে চাঁচল-কলকাতা, চাঁচল-মালদা ও চাঁচল-রায়গঞ্জ। সরকারি বাস চালু হলেও এই রুটগুলিতে চলছে না বেসরকারি বাস। অধিকাংশ বাসেই দেখা গিয়েছে হাতে গোনা যাত্রী। অন্যদিকে, দেড়মাস পর বারাসাতে তিতুমীর বাসস্ট্যান্ড থেকে ছাড়ল কিছু বেসরকারি বাস। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার জন্য সমস্ত বাস এখনই রাস্তায় চলার মতো অবস্থায় নেই। পরিকাঠামো ঠিক হলে পরবর্তীতে রাস্তায় নামবে আরও কিছু বাস। দাবি বাস চালকদের একাংশের।
কাল কলকাতা ও জেলার রাস্তায় কত সংখ্যাক বাস নামবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দেয় গতকালই। জ্বালানির অগ্নিমূল্যের জেরে প্রায় পনেরো শতাংশ ভাড়া বাড়িয়েছে রাজ্যের অ্যাপ নির্ভর ক্যাব। এই অবস্থায়, বাস মালিকদের সংগঠনগুলি বাস ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে সরব হয়েছে। বাস মালিকদের একাধিক সংগঠন, যেমন জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট, বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট, ওয়েস্টবেঙ্গল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন-সহ অন্যান্য সংগঠন বাসভাড়া বাড়ানোর দাবি করছেন। বাস মালিকদের সংগঠনগুলির দাবি, ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে পুরনো ভাড়ায় বাস চালানো সম্ভব নয়। খরচ তুলতে না পেরে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।