তমলুক,  কোচবিহার  ও মন্তেশ্বর: পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকেও ঘাসফুল ঝড়। ৪,৯৫, ৫২৫ ভোটে জিতলেন তৃণমূলের দিব্যেন্দু অধিকারী।  দ্বিতীয় স্থানে বামেরা, তৃতীয় বিজেপি। এই কেন্দ্রের ৭টি বিধানসভার ৬টিতে দ্বিতীয় স্থানে বামেরা। শুধু নন্দীগ্রাম বিধানসভায় বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে। লোকসভা ভোটের তুলনায় এখানে তৃণমূলের ভোট প্রায় ৫ গুণ বেড়েছে।


বর্ধমানের মন্তেশ্বর বিধানসভাতেও জিতেছে তৃণমূল। ১,২৭,১২৭ ভোটে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়েছেন দলীয় প্রার্থী সৈকত পাঁজা। এখানকার প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট গিয়েছে ঘাসফুলের ঝুলিতে। অন্য কোনও রাজনৈতিক দল এখানে জামানত ধরে রাখতে পারেনি।

কোচবিহারে ২ লাখের বেশি ভোটে এগিয়ে ঘাসফুল, দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি।

তবে পাশের রাজ্য ত্রিপুরার দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেই জয়ী সিপিএম। বড়জলা সংরক্ষিত আসনে ৩ হাজার ৩৭৪ ভোটে জিতেছেন সিপিএম প্রার্থী ঝুমু সরকার। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১৫ হাজার ৭৬৯। বড়জলা আসনটি আগে কংগ্রেসের দখলে ছিল। ১২ হাজার ৩৯৫ ভোটে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। ৫ হাজার ৬২৯ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে তৃণমূল। কংগ্রেসের ঝুলিতে মাত্র ৮০৪টি ভোট। খোয়াই বিধানসভা কেন্দ্রে ১৬ হাজার ৪৭ ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন সিপিএম প্রার্থী বিশ্বজিৎ দত্ত। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ২৪ হাজার ৮১০। ৮ হাজার ৭৬৩ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে তৃণমূল। কংগ্রেসের ঝুলিতে মাত্র ৬৯৬টি ভোট। ত্রিপুরায় কংগ্রেসের ফল রীতিমত হতাশাজনক। আগের ৪৩ শতাংশ ভোট শেয়ার এবারের ভোটে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২ শতাংশ অর্থাৎ ৪১ শতাংশ ভোটার হাত তুলে নিয়েছেন তাদের ওপর থেকে।

অসমের লখিমপুর ও বৈথালাংসু কেন্দ্রেও এগিয়ে বিজেপি। অরুণাচলের হায়ুলিয়াং বিধানসভা কেন্দ্রেও তাদের এগিয়ে থাকার খবর মিলেছে। পুদুচেরিতে নেলিথোপ্পু বিধানসভা কেন্দ্রে জিতেছে কংগ্রেস। তামিলনাড়ুর থাঞ্জাভুর আসনটি গিয়েছে এআইএডিএমকে-র দখলে। আরাভাকুরিচি ও তিরুপারানকুন্দ্রামেও এগিয়ে তারা।