তমলুক ও কোচবিহার:সন্ত্রাসের অভিযোগে কোচবিহারে ভোট বাতিলের দাবি বামেদের। মন্তেশ্বরে লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেন কংগ্রেস প্রার্থী। এক অভিযোগ তমলুকেও। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা দাবি তৃণমূলের।


৬ মাসের ব্যবধানে ফের ভোটের লাইনে রাজ্যের ৩ জেলার মানুষ। শনিবার উপনির্বাচন হল দুই লোকসভা কেন্দ্র কোচবিহার ও তমলুক এবং বিধানসভা কেন্দ্র বর্ধমানের মন্তেশ্বরে।

কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত শহরাঞ্চলে শান্তিপূর্ণ ভোট হলেও গ্রামাঞ্চলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে।এই পরিস্থিতিতে ভোট বাতিলের দাবি তুলেছে বামেরা। একই অভিযোগে সরব বিজেপিও। কোচবিহার পলিটেকনিক কলেজে রিটার্নিং অফিসারের অস্থায়ী দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তারা। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের।

মন্তেশ্বরে বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ। কোথায় আবার বিজেপি প্রার্থীর এজেন্টকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে। এই পরিস্থিতিতে লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন কংগ্রেস প্রার্থী। যদিও সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসক দল।

তমলুক লোকসভা কেন্দ্রেও বুথ দখল, ছাপ্পা ভোট, মারধরের অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল। তিন কেন্দ্রের ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। বিকেল ৫টা পর্যন্ত মন্তেস্বরে ভোট পড়েছে ৮৬ শতাংশ। কোচবিহারে ৭৭ ও তমলুকে ৮১ শতাংশ ভোট পড়েছে।

এদিন দেশের অন্যান্য প্রান্তের আরও ২টি লোকসভা কেন্দ্র এবং ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। লোকসভা কেন্দ্রগুলির মধ্যে রয়েছে, অসমের লখিমপুর ও মধ্যপ্রদেশের শাহদোল। তার সঙ্গে অসম, অরুণাচল প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও পুদুচেরির ১টি করে এবং ত্রিপুরার ৩টি বিধানসভা কেন্দ্রেও ভোট গ্রহণ হয়েছে।